রেজাউল আলম
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:০৯ পিএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৮ পিএম
নতুন বছর মানে আমার কাছে তেমন নতুন মনে হয় না। সব তো আগের মতোই। হয়তো ঘরে ঘরে দেয়ালে টানিয়ে রাখা ক্যালেন্ডার পরিবর্তন হয়। সময়, আবহাওয়া, পরিবেশ, প্রকৃতি সবই তো একই রকম থাকে। তবুও কিছু চাওয়া থাকে নতুন করে।
আমার মনে হয়, মানুষ প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নতুন করে জন্মগ্রহণ করে। কারণ ঘুম থেকে উঠেই নতুন সময় ঘড়ির কাঁটায় যুক্ত হয়। জানালার পর্দা সরালেই গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ঘুমভাঙা সূর্য অভ্যর্থনা জানায়। গত দিনের সব স্মৃতি, দুঃখ, কষ্ট ভুলে নতুন একটা দিন শুরু হয়। শুরু হওয়া এই দিনটাকে আমার সদ্য মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার মতো লাগে।
প্রাণিকুল থেকে শুরু করে আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, আমরা যেন সেসবের ক্ষতির কারণ না হই। ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু যেমন কারও ক্ষতির কারণ হয় না। সবার ভালোবাসা আদর সোহাগ পায়।
চাই ধুলাবালিমুক্ত রাস্তা, অহেতুক হর্নমুক্ত যানবাহন, দূষিত পলিথিনমুক্ত শহর, পরিবেশ উপযোগী গাছ। চলাফেরার সময় হয়তো চারপাশে কারণে-অকারণে বৃক্ষ হত্যা দেখতে হবে না। সড়কে দেখতে হবে না আপনজনের আহাজারি। তাহলেই হয়তো সারা দিনটা ভালো কাটবে। এই ভালো দিন কাটানোর জন্য আমার মনে হয় স্বদেশপ্রেমের ব্রতটাই যথেষ্ট।
আমরা পার করেছি বৈশ্বিক মহামারি করোনা। অনেক গবেষক বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আমরা এখনই সচেতন না হলে হয়তো সামনে আরও খারাপ পরিস্থিত অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। আর জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবের তালিকায় বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই।
অ্যাকটিভিস্টদের তথ্যমতে, আমাদের দেশে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬৫ লাখ মানুষ। আগামী কয়েক বছরে তিন থেকে চার কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আর এই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মূল হাতিয়ার হতে পারে স্বদেশপ্রেমের ব্রত। এই পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজেকে তৈরি করে তুলতে চাই। পরিবেশ সুরক্ষায় তরুণ প্রজন্ম সম্মিলিতভাবে নানা উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। সেসব উদ্যোগের মধ্যে পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে মাটির দূষণরোধে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম; পানি, বিদ্যুতের অপচয় রোধকরণে সচেতনতা কার্যক্রমসহ আরও নানা সংগঠিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ জলবায়ু মোকাবিলার স্বপ্নযাত্রা নিয়ে অদম্য বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সংগঠিত হতে হবে। অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে সবার মাঝে স্বদেশপ্রেমের ব্রত ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তরুণদের অংশগ্রহণই পরিবর্তনের সূচনা করবে।