মেহেদী হাসান নাঈম
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৪ পিএম
প্রিয়তমা,
‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’ বনলতার প্রতি জীবনানন্দ দাশের ভালোবাসার প্রকাশ। আমি জীবনানন্দ নই। তবে তোমার ভালোবাসায় মত্ত। হৃদয়ের পুরোটা জুড়ে তোমার বসবাস। তুমি প্রাণময়, তাই আমি বাঁচি। আমি রবীন্দ্রনাথ নই। তবে তোমায় শোনাতে পারব শত আলোকবর্ষের কবিতা। যার সবটা জুড়ে শুধু তোমার বিচরণ।
আমাদের প্রথম দেখার কথা বড্ড মনে পড়ে। একটি কনফারেন্স হলে প্রথম দেখেছিলাম তোমায়। মনে মনে বলেছিলাম, ‘আজকে না হয় হোক আমার একটু অপরাধ, তবু যদি মেটে আমার তুমি ডাকার স্বাদ। তুমি আমায় দণ্ড দাও, দাও কারাগার। সেথায় হব প্রেম কয়েদি একশ হাজার বার।’ প্রাণ দিতে চাই, মন দিতে চাই। সবটুকু ধ্যান সারাক্ষণ দিতে চাই তোমাকে। তোমার কি মনে পড়ে, ক্লাসরুমে বসে একটা ছেলে কৌতূহলে শুধু তোমাকেই দেখে। তার সবটুকু আকর্ষণ শুধু তুমিতে গিয়েই থামে।
তোমার এলোচুলে আমি হারিয়ে যাব, ভালোবাসতে বাসতে। তোমার সঙ্গে আলোকবর্ষ পরিমাণ পথ চলতে চাই। এখনও একসঙ্গে অনেক বই পড়ার বাকি আমাদের। রাত জেগে অনেক স্বপ্ন দেখার বাকি। বৃষ্টিকে আপন করে নিয়ে ভিজব আমরা। এখনও সমুদ্রের জলে পা ডুবিয়ে হাঁটা হয়নি আমাদের, চাঁদটা আকাশে রেখে নদীর পাড়ে বসা হয়নি। অপেক্ষায় আছি কবে তুমি আমার আকাশ ভেঙে ভালোবাসবে। একদিন তুমি আমার হবে, শুরু হবে আমাদের ইচ্ছাপূরণের পালা।
আমার এ চিঠি হয়তো নোবেলজয়ী কিশোর ডিলানের প্রেমের চিঠির মতো ৬ লাখ ডলারে বিক্রি হবে না। তবে আমি বিশ্বাস করি, তোমার ভালোবাসার সবটুকু অনুভূতির সঙ্গে মিশে যাবে; যা দিয়ে লিখব আমাদের ভালোবাসার মহাকাব্য।