শাওন মিয়া
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৩:০৮ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৩:০৯ পিএম
বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধে লিফলেট বিতরণ করে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অদম্যরা
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। দূষণের কবলে পড়ে দেশের অসংখ্য নদী মৃতপ্রায়। তেমনই একটি নদী বুড়িগঙ্গা। যার কোলে ঠাঁই হয়েছে বৃহৎ নগরী ঢাকার। সেই নগরীই যেন তাকে গলা টিপে হত্যা করছে। বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ, প্লাস্টিক, বিষাক্ত দ্রব্যে বুড়িগঙ্গার পানি হয়ে উঠেছে বিষাক্ত। জলজ প্রাণীসহ আশপাশের মানুষের বসবাসের অনুকূল পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নদী দূষণ, তীরে অবৈধ স্থাপনা ও অসচেতনতার কারণে বুড়িগঙ্গা আজ মৃতপ্রায়।
১২ মার্চ বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ইউনিট ‘বুড়িগঙ্গা ঢাকার প্রাণ, ঢাকা বাঁচাতে বুড়িগঙ্গা বাঁচান’ শিরোনামে ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গাতীরবর্তী মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে। নদীদূষণের বিভিন্ন কারণ ও ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় নদীতীরবর্তী মানুয়েরা দূষণ না করার জন্য তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।
সিরাজ মিয়া নামের এক লঞ্চযাত্রী বলেন- আমরা বিভিন্নভাবে বুড়িগঙ্গাকে দূষণ করছি। লঞ্চঘাট এবং অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা হওয়ায় এই নদী অধিক হারে দূষিত হচ্ছে। কিন্তু আমরা বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত দেখতে চাই। আর এ কাজে সবার সচেতন হওয়া উচিত।
আহ্বায়ক রায়হাত হোসেন বলেন- বুড়িগঙ্গা রাজধানী ঢাকার প্রাণ। কিন্তু আমরা সেই নদীকে দূষিত করছি। শিগগির সচেতন হয়ে দূষণ রোধ করতে না পারলে বুড়িগঙ্গা ঢাকাবাসীর কাছে রূপকথার গল্পের মতো হয়ে যাবে।
সদস্য সচিব শাওন বলেন- বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধে আমরা নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসব। আদি বুড়িগঙ্গার রূপ ফিরিয়ে আনতে আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব। বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্ত করে আসুন নিজেরা বাঁচি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাই।
যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা আজাদ বলেন- বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা সবচেয়ে বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই অদম্যরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আজকে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছে।
বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে বিআইডব্লিউটিএর নদী ব্যবহার সম্পর্কিত নিয়ম মেনে চলতে হবে। দূষণ রোধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে বুড়িগঙ্গাকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।