মেহেদী হাসান নাঈম
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৫৮ এএম
মন বলে চল ফিরে আবার, স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার। জন্ম, শৈশবকাল ও বেড়ে ওঠা একই জায়গায় হওয়ায় অচিন পথে আপন ছাড়ি, স্বপ্ন টানে ঈদের আগে কখনও বাড়ি ফেরার সুযোগ হয়নি। তবে ঈদকে ঘিরে শৈশবের যে মধুর স্মৃতি তা অনেক বেশি রঙিন।
শৈশবে ঈদ-আনন্দ শুরু হতো রমজান থেকেই। আজও মনে পড়ে একটি করে রোজা চলে যেত, আর হিসাব করতাম ঈদের কত দিন বাকি। এরই মধ্যে চলত নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটা। ঈদের সবচেয়ে বেশি আনন্দ হতো চাঁদরাতে। সবাই মিলে আবিষ্কার করতাম পশ্চিম আকাশে চাঁদ উঠেছে কি না। বলা যায় মোটামুটি একটি চাঁদ দেখা কমিটি গঠন করা হত। এই কমিটি চাঁদ দেখতে সফল হয়েছে কি না তা সবাই বুঝে ফেলত আমাদের আতশবাজি ফোটানোর শব্দ শুনে।
ঈদের দিন সকালে গোসল করে নতুন জামা পরে আমি ও আপু আব্বুর হাত ধরে চলে যেতাম ঈদগাহে। আমাদের দুজনকে নিয়ে যাওয়ার একটা মজার কারণ ছিল। ঈদগাহের সামনে মেলা বসত। সেখানে বেলুন, বাঁশিসহ নানা রকমের খেলনা আর বাহারি সব খাবারের দোকান। আব্বু মেলা থেকে খাবার আর খেলনা কিনে দিতেন আমাদের। ঈদে বেশি মজা হতো সালামি নিয়ে। বন্ধুরা মিলে দলবেঁধে বেরিয়ে পড়তাম ঘুরতে।
সময় বদলেছে, বয়সে বড় হয়েছি। সেই সঙ্গে বদলে গেছে ঈদ উদযাপনের ধরন। শৈশবের মতো আর আনন্দ হয় না ঈদে। বাস্তবতার চাপে সবই যেন হারিয়ে যাচ্ছে।