× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ময়ূরাক্ষী

মো স্তাফিজুর রাহমান

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৬:০৫ পিএম

ময়ূরাক্ষী

গল্পের জাদুকর অথবা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। বলছি গল্পের জগতে একচ্ছত্র রাজত্ব করা কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কথা। যিনি বাংলা সাহিত্যে সৃষ্টি করেছেন বেশকিছু অমর চরিত্র। যার মধ্যে অন্যতম হিমু। হাজার বছর ধরে বিরামহীন পথচলা যুবক হিমু ওরফে হিমালয়। যার আবির্ভাব ঘটে হুমায়ূন আহমেদের ময়ূরাক্ষী উপন্যাসের মধ্য দিয়ে। এই উপন্যাসটিই হিমু সিরিজের প্রথম উপন্যাস, প্রকাশিত হয় ১৯৯০ সালে অনন্যা পাবলিকেশন থেকে। 

‘এ্যাই ছেলে, এ্যাই’ বাক্যটির মধ্য দিয়েই শুরু হয় উপন্যাসের গল্প এবং আমাদের সঙ্গে হিমুকে পরিচয় করিয়ে দেন লেখক। জাস্টিস সাহেবের স্ত্রী এবং তার মেয়ের সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে থানায় যেতে হয় হিমুকে। এরপর দেখা যায় হিমুর জগৎ। ঘামে ভেজা হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো। যার চোখে নেই কোনো স্থিরতা, পাঞ্জাবিতে নেই কোনো পকেট- এমন এক চরিত্র হিমু। এই উপন্যাসে আমরা দেখতে পাই হিমুর ফুপাতো ভাই বাদলকে। যে হিমুর এক রকম অন্ধ ভক্ত। হিমু আর তার ফুপার কথোপকথন শুনে অবাক হতে হয় পাঠককে। 

উপন্যাসে প্রকাশ পেয়েছে হিমুর পারিবারিক অবস্থা। তার বাবা পাগলাটে স্বভাবের, যার জীবনের লক্ষ্য ছিল পুত্র হিমুকে যেকোনো উপায়ে মহাপুরুষ বানানো। জীবনের নানা ক্ষেত্রে বাবা উপদেশ দিয়েছেন হিমুকে। হিমুর মতে, এই উপদেশগুলো শোনার মাধ্যমেই সে মহাপুরুষ হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছিল। একবার বাবা হিমুর পোষা টিয়াপাখিটাকে হত্যা করে। সে হত্যা ছিল চরম নির্মমতার এক বহিঃপ্রকাশ। পাঠককে কিছুক্ষণের জন্য থমকে যেতে হয় এই অংশটা পড়ার সময়। 

এই উপন্যাসেই আমরা দেখতে পাই, হিমুর ইনট্যুইশন ক্ষমতার বিষয়টা। সে দাবি করে তার নাকি নিজস্ব একটা নদী আছে, নাম ময়ূরাক্ষি। জীবনে একবারই সে স্বপ্নে দেখেছে নদীটি। ‘ময়ূরাক্ষি নদীকে একবারই আমি স্বপ্নে দেখি। নদীটা আমার মনের ভেতর পুরোপুরি গাঁথা হয়ে যায়। অবাক হয়ে লক্ষ করি- কোথাও বসে একটু চেষ্টা করলেই নদীটাকে আমি দেখতে পাই। আমাকে কোনো কষ্ট করতে হয় না। চোখ বন্ধ করতে হয় না, কিছু না। একবার নদীটা বের করে আনতে পারলে সময় কাটানো কোনো সমস্যা নয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমি নদীর তীরে হাঁটি। নদীর হিমশীতল জলে পা ডুবিয়ে বসি। শরীর জুড়িয়ে যায়। ঘুঘুর ডাকে চোখ ভিজে ওঠে।’- এই হলো উপন্যাসের ফ্ল্যাপের কথা। 

হিমু সিরিজের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপা। হিমুর আলোচনা হচ্ছে অথচ রূপার প্রেক্ষাপট আসবে না তা হতেই পারে না। অসীম ধৈর্য আর স্থিতি নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে এই প্রেমিকা চরিত্রটি। হিমুর মতো ভবঘুরে ছেলেকে কেন যে এই মেয়েটি এত ভালোবাসে, সেটাই পাঠক হৃদয়ের সব থেকে বড় প্রশ্ন। কিন্তু হিমু কি রূপাকে সত্যিই ভালোবাসে? সেটাও যেন আরেক ধাঁধা! 

হিমুর অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো- রহস্যময় পকেটছাড়া হলুদ পাঞ্জাবি, তার খালি পা ও হাঁটা। গল্পের এক জায়গায় সে বলেছে, ‘আমি সারা দিন হাঁটি। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন যে যাত্রা, তার কোনো শেষ থাকার কথাও নয়…।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা