বেতাগী (বরগুনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৫ পিএম
বেতাগী প্রেসক্লাব ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের পাঠক সংগঠন অদম্য বাংলাদেশের আয়োজনে নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন। প্রবা ফটো
বরগুনার বেতাগীতে উপকূলের জলবায়ু বিপন্ন মানুষের অগ্রগতি, সুরক্ষা ও উপকূল দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে ‘উপকূল দিবস’ পালিত হয়েছে। রবিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বেতাগী প্রেসক্লাব ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের পাঠক সংগঠন অদম্য বাংলাদেশের আয়োজনে শোক র্যালি, নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন ও পৌর শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজেম স্মৃতি ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে আলোচনা সভার মাধ্যমে এ দিবস পালন করা হয়।
প্রতিদিনের বাংলাদেশের সংবাদদাতা ও বেতাগী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বেতাগী সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাসুদ সিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বেতাগী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম সিদ্দিকী, উপজেলা এনজিও সন্বয় পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সিআইপিআরবির আঞ্চলিক সন্বয়কারী রজত সেন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির উপজেলা সভাপতি দিপক কুমার গুহ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বেতাগী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন খান। বক্তব্য দেন, বরগুনা জেলা যুব কাউন্সিলের সদস্য অলি আহমদ, সংবাদ কর্মী আরিফ সুজন, শাকিল আহমেদ, ফোরকান হোসেন ইমরাত, ইমরান হোসেন, এক ঘন্টার প্রতীকী ইউএনও তাকওয়া হোসেন নুপুর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তাই ঘূর্ণিঝড় ও নিহতদের স্মরণে বছরে অন্তত একটিবার আলোচনা সভার আয়োজন এবং উপকূলের সুরক্ষা, সংকট, সম্ভাবনা, বিকাশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ ১২ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি জানাই।’
সেই সময়কার কিশোর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোপখালী গ্রামের বাসিন্দা সংবাদকর্মী হাসানুর রহমান ঝন্টু স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘৭০ এর জলোচ্ছ্বাসে আমাদের গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। বাড়ির ৭টি ঘর ভেঙ্গে পড়ে। উঠানে কোমড় সমান পানি হয়। ভয়াবহ বন্যার দৃশ্য আজও চোখে ভাসছে। আমাদের ছোট দাদী সাহসী ছিলেন, জোয়ারের পানির মধ্য দিয়ে কোলে করে আরেক ঘরে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যান। এই ঘূর্ণিঝড়ে এ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।’