× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রাচীন স্থাপত্য

গৌরনদীর ‘আল্লাহর মসজিদ’

আমিনা আকতার

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৩০ পিএম

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

‘আল্লাহর মসজিদ’ নামে প্রতিষ্ঠিত অতি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক একটি মসজিদ রয়েছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বড়কসবা গ্রামে। উপজেলা সদর থেকে সড়ক পথে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে কালের সাক্ষী হয়ে নয়টি গম্বুজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আল্লাহর মসজিদ নামের প্রাচীন এ স্থাপনাটি। এলাকাবাসীর দাবি মসজিদটি অলৌকিকভাবে নির্মিত। এটি দেশের একটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।

মসজিদটির সঠিক ও নির্ভুল নির্মাণ ইতিহাস জানা নেই কারও। কোনো দালিলিক প্রমাণ না থাকলেও এর নির্মাণ ইতিহাস সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে রয়েছে নানা গল্প।

এরই একটি বড়কসবা গ্রামটি একসময় ছিল গভীর জঙ্গলে পরিপূর্ণ। সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে কৃষিশ্রমিকরা জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করার সময়ে নয়টি গম্বুজ, পাঁচটি দরজা ও বহু মূল্যবান শ্বেত পাথরে নির্মিত এ মসজিদের সন্ধান পান। গভীর জঙ্গলের ভেতরে নয়নাভিরাম মসজিদটি দেখে শ্রমিকরা আবেগাপ্লুত হন। এ সময় তাদের ধারণা জন্মে মসজিদটি মহান আল্লাহ পাকের ঐশ্বরিক ক্ষমতায় অলৌকিকভাবে নির্মিত। মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা বা কোনো নির্মাণকারীর খোঁজ না পেয়ে সম্রাটের শ্রমিকের দল ও স্থানীয় মুসলমানরা মসজিদটির নাম রাখেন ‘আল্লাহর মসজিদ’।

বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের অনুরূপ বর্গাকারে নির্মিত মসজিদের সম্মুখভাগ ফুল ও অন্যান্য নকসায় ভরপুর। মসজিদের চারপাশে রয়েছে রেখায় অলংকৃত চারটি গোলাকার টারেক। পোড়ানো লাল ইট দিয়ে নির্মিত বর্গাকার এ মসজিদের প্রতিটি বাহু ১৬.৯৬ মিটার দীর্ঘ। দেয়ালগুলো প্রায় ২.১৮ মিটার চওড়া। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে রয়েছে দুটি খিলানযুক্ত প্রবেশপথ। পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব।

মসজিদটির অভ্যন্তরভাগে কিবলা দেওয়ালে একটি মাত্র খাঁজ বিশিষ্ট মিহরাব আছে। মিহরাবটি একটি আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে স্থাপিত এবং এর ওপর দিকে একটি কৌনিক খিলান রয়েছে। এর ওপর আনুভূমিক একসারি মোল্ডিংয়ের বন্ধনী আছে। যাতে পুনরায় আনুভূমিক আর এক সারি বন্ধ কাঞ্জুরা অলঙ্করণ রয়েছে।

মসজিদটি দেখে ধারণা করা হয়, এটি পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় হজরত খানজাহান আলী (রহ.)-এর আমলে নির্মিত। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে মসজিদটি ‘কসবা মসজিদ’ নামে তালিকাভুক্ত।

মসজিদের ইমাম ও খাদেম বাবুল ফকির বলেন, মসজিদটি নিয়ে যত ঘটনার কথা প্রচলিত সবই ‍পূর্ব পুরুষের মুখে শোনা। এর কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা