মাসউদুল কাদির
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৩৩ পিএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৩৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আমানত শব্দের
অর্থ হলো বিশ্বস্ততা বা নিরাপত্তা। আমানত শব্দের ব্যবহার বাংলা ভাষায়ও আছে। সাধারণত
কোনো ব্যক্তিকে বিশ্বস্ত মনে করে যা তার কাছে রাখা হয় সেটাই আমানত। আমানতদারিতা মানবজীবনে
অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এ গুণ সবাই অর্জন করতে পারে না।
আমরা জানি, স্বল্পোন্নত
দেশগুলোয় অন্যতম সমস্যা দুর্নীতি। এটি মূলত বিশ্বস্ততার অভাবেই হয়ে থাকে। ক্ষমতার দর্পে
কিছু লোক বিশ্বস্ততার শিক্ষার অভাবে সমাজকে অস্থিতিশীল করে তোলে। একটি সুন্দর ও সফল
দেশ গঠনের জন্য বিশ্বস্ত মানুষের বড়ই প্রয়োজন।
জীবনের সর্বত্র
বিশ্বস্ততা রক্ষা করে চলার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। মহান আল্লাহ এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা
দিয়ে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানত তার হকদারকে ফিরিয়ে দিতে।’
Ñসুরা নিসা : ৫৮
বাস্তবে কেউ যদি
আমানতদার বা বিশ্বস্ত না হয় তার পক্ষে হকদারের কাছে যথাযথভাবে গচ্ছিত জিনিস পৌঁছানো
সম্ভব নয়। এজন্যই মক্কার বিধর্মীরাও হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আল আমিন বা বিশ্বাসী উপাধি
দিয়েছিল। এটা আত্মীয়তার বন্ধনের কারণে নয়, স্বজনপ্রীতি নয়; প্রকৃত অর্থেই তিনি গণমানুষের
কাছে বিশ্বাসী ও বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছিলেন। হিজরতের সময়ও তাঁর কাছে গচ্ছিত আমানত ছিল প্রচুর
পরিমাণে। এটা প্রমাণ করে তিনি আরবের মানুষের কাছে কতখানি বিশ্বস্ত ছিলেন। যিনি মুমিন
তিনি হবেন আমানতদার, বিশ্বস্ত। এটা মুমিনের পরিচয়। সুরা মুমিনুনে ইমানদার ব্যক্তির
গুণের বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘(তারা সফল) যারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি
রক্ষা করে।’ Ñসুরা মুমিনুন : ০৮
মহানবী (সা.)
এ বিষয়ে বলেন, ‘যার মধ্যে আমানতদারি নেই তার ইমান নেই এবং যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে
না তার মধ্যে দীন নেই।’ Ñসুনানে বায়হাকি
বুখারি ও মুসলিমের এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, যে আমানত খেয়ানত করে সে মুনাফিক। মানুষ বিশ্বস্ততা হারালে তার সবকিছুই হারিয়ে যায়। মানুষ তিলে তিলে অন্য সবার কাছে বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে। তাই নিজের কর্মের পরম সৌন্দর্যবোধেই আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। আল্লাহ আমাদের বিশ্বস্ত হয়ে ওঠার তাওফিক দিন।