শাহীন হাসনাত
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০২ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৪ ১১:৪০ এএম
কুরআন মাজিদের সুরা হুজুরাতের ১০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই।’ বর্ণিত আয়াত দুনিয়ার সব মুসলিমকে এক বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে। স্বয়ং আল্লাহতায়ালা যে ভ্রাতৃত্বের ঘোষণা করে দিয়েছেন, সেই ভ্রাতৃত্বকে ছোট করে দেখার অবকাশ ও এড়ানোর কোনো উপায় নেই। তাই মুসলিম জাতি পরস্পরের মধ্যকার আদব, রীতি ও অধিকার রক্ষা করে চলবে। একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবে। বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াবে, এটাই ঈমানের দাবি। এগুলো ইবাদত এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। এসব আদব ও অধিকারের কয়েকটি হলো : তাকে (ভালো) উপদেশ দেওয়া, যখন সে কোনো বিষয়ে উপদেশ বা পরামর্শ চায়। এটা এজন্য যে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের কাছে উপদেশ বা পরামর্শ চাইবে, তখন সে যেন তাকে ভালো উপদেশ দেয়।’ Ñসহিহ বোখারি : ৬৮
হাদিসে আরও ইরশাদ
হচ্ছে, ‘দীন হচ্ছে (জনগণের) কল্যাণ কামনা করা। আমরা (সাহাবি) জিজ্ঞেস করলাম, কার জন্য?
তিনি (নবী করিম সা.) বললেন, আল্লাহ, তার কিতাব, তার রাসুল, মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও সমস্ত
মুসলিমের জন্য।’ Ñসহিহ মুসলিম : ২০৫
ইসলামের শিক্ষা
হলো, যেখানেই কোনো মুসলমানের সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার দরকার, সেখানেই তাকে সাহায্য
করা এবং তাকে হেয় প্রতিপন্ন না করা; কেননা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার
ভাইকে সাহায্য করো, চাই সে জালেম হোক অথবা মজলুম। এ কথা বলার পর এক ব্যক্তি বলল, হে
আল্লাহর রাসুল! সে যদি মজলুম (অত্যাচারিত) হয়, আমি তাকে সাহায্য করব, এটা বুঝতে পারলাম;
সে জালেম হলে আমি তাকে কীভাবে সাহায্য করব, সে ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? তখন তিনি বললেন,
তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখো, বাধা দাও; এটাই হলো তাকে সাহায্য করা।’ Ñসহিহ বোখারি
: ৬৫৫২
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে কোনো মুসলিম ব্যক্তি অন্য কোনো মুসলিমকে সাহায্য করবে এমন কোনো স্থানে, যেখানে তার চরিত্র কলুষিত করা হয় এবং তার সম্মান নষ্ট করা হয়, আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন, যেখানে সে তার সাহায্য পাওয়াটাকে পছন্দ করবে। আর যে কোনো মুসলিম ব্যক্তি অন্য কোনো মুসলিমকে অপমান করবে এমন কোনো স্থানে, যেখানে তার সম্মান নষ্ট করা হয়, আল্লাহ তাকে এমন স্থানে অপমানিত করবেন, যেখানে সে তার সাহায্য পাওয়াটাকে কামনা করবে।’ Ñআহমাদ