ছায়ানটে বসন্তবরণ

ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিল ছায়ানট। শনিবার (১১ মার্চ) বিকালে ছায়ানট মিলনায়তনে বসন্ত বন্দনার আয়োজনে ছায়ানটের শিল্পীরা গাইলেন রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত; কেউ গাইলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গান। একক বা সম্মিলিত গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। বসন্ত বন্দনায় ছিল একক আবৃত্তি পরিবেশনাও।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ শিরোনামে রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে সম্মিলিত নৃত্য নিয়ে মঞ্চে আসেন ছায়ানটের নৃত্যশিল্পীরা। পরে তারা রবীন্দ্রসংগীত ‘আমার বনে বনে ধরল মুকুল’ গানটির সঙ্গেও নৃত্য পরিবেশন করেন। একক সংগীত পর্বে তাহমিদ ওয়াসীফ ঋভু পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত বসন্তে আজ ধরার চিত্ত হলো উতলা, সুমা রায় শোনান দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘আয়রে বসন্ত তোর ওই কিরণমাখা পাখা তুলে’ গানটি।

রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন চঞ্চল বড়াল, পার্থ প্রতীম রায়, সেমন্তী মঞ্জরী, মহুয়া মঞ্জরী সুনন্দা। কাজী নজরুল ইসলামের গান পরিবেশন করেন মোহিত খান, কাজী হুসনা, রেজাউল করিম, নাহিয়ান দুরদানা শুচি, মনীষ সরকার ও সুস্মিতা দেবনাথ শুচি। 

একক গানের পর্বের মাঝে ‘বসন্ত এলো এলো রে’, ‘মোর বীণা উঠে’, ‘মনের রঙ লেগেছে’, ‘সব দিবি কে, সব দিবি পায়’, ‘আজ খেলা ভাঙার খেলা’ গানগুলোর সঙ্গে সম্মিলিত নৃত্য নিয়ে মঞ্চে আসেন ছায়ানটের শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের ‘ফুল সাজি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন নাজনীন নাজ, কাজী সামিউল আজিজ আবৃত্তি করেন সুব্রত পালের কবিতা ‘থেকো বসন্ত সন্ধ্যায়।’ 

শেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশনায় সমাপ্ত হয় ছায়ানটের বসন্ত বন্দনা।