প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৩২ এএম
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন স্থান করে নিয়েছে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায়। ছবি : রবীন্দ্রভবন আর্কাইভ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের (বিশ্ব ঐতিহ্য) তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। গতকাল রবিবার (১৭ সেপ্টম্বর) জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থাটি এ ঘোষণা দিয়েছে।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার তার প্রতিবেদনে বলেছে, শান্তিনিকেতন যে বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানের তালিকায় স্থান পেতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। ঘোষণা আসার পরপরই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এক্সে লিখেছিলেন, ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে সারা দেশের জন্য সুখবর। শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।’
এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেড্ডি জানিয়েছিলেন, বিশ্বভারতী আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় ঠাঁই পেল কি নাÑ তা সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াদে একটি সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছিলেন রেড্ডি। শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরে সেই ঘোষণা করল ইউনেস্কো।
শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় জায়গা পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘আমি খুব আনন্দিত এবং গর্বিত যে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর শান্তিনিকেতন এখন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশ্ববাংলার গর্ব, শান্তিনিকেতনকে লালন করেছেন কবি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম একে সমর্থন করে গিয়েছেন বাংলার মানুষ।’
১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে স্কুল এবং ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর পথচলা শুরু। ১৯৫১ সালে এই প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায়। তবে গত কয়েক মাসে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর আগে এই রাজ্যের দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন এবং সুন্দরবন ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় উঠে এসেছে। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং টয়ট্রেনের সঙ্গে নীলগিরি পাহাড় ও শিমলার রেলগাড়িও গৌরবের শরিক। আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে দুর্গাপুজোকেও স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।