প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৬ পিএম
হত্যা, সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গণ চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে অতিথিরা। প্রবা ফটো
পেশাজীবী চারুশিল্পীদের প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ’ নাশকতা, গণবিরোধী ও উন্নয়নবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে, দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সহায়সম্বলে অগ্নিসংযোগসহ আগুনসন্ত্রাস এবং অপকর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণচিত্রাংকন ও প্রতিবাদী চিত্রকর্মের গণ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ১০ দিনব্যাপী প্রতিবাদী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী শিল্পী আনোয়ার হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সহ-সভাপতি সংগঠক আশরাফুল আলম পপলুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিল্পী অধ্যাপক জামাল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী, শিল্পী সঞ্জীব দাস অপু, অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র গাইন, শামসুল আলম ইন্নান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিল্পী মনিরুজ্জামান, শিল্পী মনিরুজ্জামান লিটন, নবেন্দু সাহা নব প্রমুখ ।
এই প্রদর্শনী আগামীকাল থেকে চারুকলা অনুষদে স্থানান্তর হবে এবং সেখানেই বাকি সময় চলবে।
স্বাধীনতা সংগ্রামী শিল্পী আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, উন্নয়ন অগ্রগতি ব্যাহত করে, যারা বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু বলতে দ্বিধা করে তাদের এদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, যারা সংবিধানের আলোকে নির্বাচন না করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় আমরা বলতে পারি তারা সংবিধানকে মানেন না। উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছেন, দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করছেন যা কোনভাবেই কাম্য নয়। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের দেশের শিল্পীদের ক্যানভাসে সে চিত্রই ফুটে উঠেছে।
ঢাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, যারা দেশের বিরোধীতা করে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে, সংবিধানের বিরোধীতা করে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে লজ্জা পান, ভয় পান তাদের এ দেশের রাজনীতি করার বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিচালনা কমিটির সদস্য শিল্পী ও সংগঠক আশরাফুল আলম পপলু বলেন, শিল্পীরা মানবিক, তারা জাতির ক্রান্তিকালে, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে, বাঙালির সকল সংগ্রামে, মানুষের প্রয়োজনে সবসময় তাদের পাশে ছিলেন, রাস্তায় নেমে এসেছেন। এর প্রমাণ আমরা দেখতে পাই ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষের সময় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের তুলিতে, ক্যানভাসে, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে বর্তমান সময়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আন্দোলনে। আজকের এই গণচিত্র প্রদর্শনী তারই ধারাবাহিকতার অংশ।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পী জামাল আহমেদ বলেন, শিল্পীরা মুখে বলেন না তারা তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে কথা বলেন, দেশের কথা বলেন, বক্তব্য ফুটিয়ে তোলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তারা তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে করেন।