প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৩৫ এএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:২২ এএম
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে যাত্রা করা জাতীয় কবিতা উৎসব প্রতি বছরের মতো এবারও শুরু হচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি। যথারীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসংলগ্ন হাকিম চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনের উৎসব। এবার বসছে উৎসবের ৩৬তম আসর। এবারের প্রতিপাদ্য ‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কবির পাশাপাশি অংশ নেবেন আর্জেন্টিনা, নেপাল, জার্মানি, ইরাক, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের কবি। কবিতা উৎসব উদ্বোধন করবেন জনপ্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণ।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। তিনি বলেন, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলমুক্তির ডাক দিয়ে কবিতা উৎসব শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। কালের পরিক্রমায় সে উৎসব সাড়ে তিন দশক অতিক্রম করেছে। এ উৎসব থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের কবিরা যে মর্মবাণী উচ্চারণ করেছেন তা-ই সমগ্র জাতির কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ যখন দেশে দেশে অশুভশক্তির দাপটে নিরপরাধ মানুষ, বিপন্ন নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতার অহমিকা দেখাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, সে সময় আমাদের এ আয়োজন। আমরা বাংলাদেশের কবিরা এবং আরও বেশ কয়েকটি দেশের কবি ও কবিতাপ্রেমীরা একত্র হয়ে এ উৎসবে যুদ্ধ, গণহত্যাসহ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করব। দুই দিনব্যাপী উৎসবে কবিতা পাঠ, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আমরা ‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’ স্লোগান মূর্ত করে তুলব।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উৎসব সফল করার জন্য একটি উৎসব কমিটি, ২৩টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। এবারের কবিতা উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে কবি আসাদ চৌধুরী, কবি মোহাম্মদ রফিক, কবি জাহিদুল হক, কবি বুলবুল মহলানবীশ ও কবি হানিফ খানকে। দ্বিতীয় দিন ২ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টায় জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবিদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কবি রুবি রহমান, কবি নাসির আহমেদ, উৎসব আহ্বায়ক শিহাব সরকার, কবিতা নির্বাচন উপপরিষদের আহ্বায়ক আমিনুর রহমান সুলতান, সাংগঠনিক উপপরিষদের আহ্বায়ক দিলারা হাফিজ, অনুষ্ঠান উপপরিষদের আহ্বায়ক আসলাম সানী প্রমুখ।