প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪ ০৯:২৬ এএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৪ ০৯:২৯ এএম
সোমবার জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। প্রবা ফটো
মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা নিয়ে সংলাপ, চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে পালিত হলো জাতীয় গণহত্যা দিবস।
সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। সেমিনার, সংলাপ, আর্ট ক্যাম্প, গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার প্রযোজনার পোস্টার ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায়।
শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সংস্কৃতিজনদের নিয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় একাডেমির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে সংলাপ। জাতিসংঘ কর্তৃক ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবিতে জাতীয় গণহত্যা দিবসে শিল্পকলা একাডেমির ‘সংলাপ: গণহত্যার বিশ্ব-রাজনীতি ও বাংলাদেশ গণহত্যা: ভুলে থাকা সাংস্কৃতিক দায়’ অনুষ্ঠিতত হয়েছে। সংলাপে অংশ নিয়েছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদ রেজা নূর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবুল হক, লেখক ও গবেষক চঞ্চল আশরাফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজ সালেকীন, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র প্রযোজক মাতিয়া বানু শুকু, লেখক ও চলচ্চিত্রকার নূরুল আলম আতিক, লেখক, গবেষক, সম্পাদক জাফর আহমদ রাশেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নজরুল কবির, চলচ্চিত্র আন্দোলন কর্মী চলচ্চিত্রকার এন রাশেদ চৌধুরী, অভিনেত্রী ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক জ্যোতিকা পাল জ্যোতি। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম মোজাহার। সভাপতি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ।
সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা এ ধরনের সংলাপ নিয়ে আরো বসতে চাই, আমরা মনে করি আমাদের শিল্পী কবি সাহিত্যিকরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিস্মৃত হয় নি। শুধু একটি সেমিনার করার জন্য আমরা এই অনুষ্ঠান করিনি। আমাদের শক্তি একটাই, শিল্প নির্মাণ, আমরা এই জাতিকে মুক্তিযুদ্ধ ভুলতে দেবো না, তাহলে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ থাকবো।’
সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে উদ্বোধন করা হয়েছে দেশের বরেণ্য, বিশিষ্ট ও প্রতিশ্রুতিশীল চারুশিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর। জাতীয় চিত্রশালার ১ নম্বর গ্যালারীতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ১৯৭১ সালে রাজধানীতে সংগঠিত গণহত্যার স্থান গুলোর মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, মিরপুর জল্লাদখানা, রায়েরবাজার বধ্যভূমি, রোকেয়া হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৩ মার্চ ২০২৪ অনুষ্ঠিত আর্ট ক্যাম্প থেকে সংগৃহীত চিত্রকর্মগুলো এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। ২৫-৩১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে থাকবে গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার প্রযোজনার পোস্টার ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
রাত সাড়ে ৭টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, সভাপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সচিব সালাউদ্দিন আহাম্মদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় সমবেত ও একক সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি।