প্রতিদিনের বাংলাদেশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২২ ২৩:০৩ পিএম
ফাইল ছবি
করোনার দুই বছর (২০২০-২১) ও চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে সারা দেশে ৩১ হাজার ৫৭৫টি ব্যক্তিগত গাড়ি নেমেছে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে ১ হাজার ২০০–এর বেশি গাড়ির নিবন্ধন দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআররিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডার হিসাবে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত দেশে কোনো গাড়ি আমদানি হয়নি। এরপর গত ১৯ মাসে সব মিলিয়ে ২৩ হাজার ২১৮টি গাড়ি আমদানি হয়েছে। পুরনো গাড়ির পাশাপাশি নতুন গাড়িও এসেছে এ সময়ে।
বারভিডা সূত্রে জানা গেছে, যত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হয়, তার প্রায় ৮০ শতাংশই বিক্রি হয়ে যায়। বাকি ২০ শতাংশ শোরুমে থাকে।
বর্তমানে দেশের বাজারে ৭৫ শতাংশ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে নতুন গাড়ির চাহিদা। সাধারণত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি জাপানে এক থেকে পাঁচ বছর চলার পর বাংলাদেশে আসে। নতুনের তুলনায় দামে কম হওয়ায় বাজার দখল করে আছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি।
সাধারণত জাপানের টয়োটা ব্র্যান্ডের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বেশি আমদানি হয়। টয়োটার এলিয়ন, প্রিমিও, ফিল্ডার মডেলের গাড়িই বেশি আসে। এ ছাড়া হোন্ডাসহ বিভিন্ন কোম্পানির এসইউভি মডেলের গাড়িও আমদানি হয়।
২০২০ সালের প্রথম সাত মাস কোনো গাড়ি আমদানি হয়নি। পরের পাঁচ মাসে ৪ হাজার ৫৪১টি গাড়ি আমদানি হয়। ২০২১ সালে সব মিলিয়ে ১৫ হাজার ৯০৯টি গাড়ি আমদানি হয়েছে। সেই হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির আমদানি বেড়েছে সাড়ে তিন গুণ। করোনার আগেও প্রতিবছর ১৬ থেকে ১৭ হাজার গাড়ি আমদানি হতো।
এদিকে জাপানের রিকন্ডিশন্ড গাড়ির অকশন কমে আসায় বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। এতে দেশের বাজারে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ।