প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪৭ পিএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:০২ পিএম
হুমায়ুন আজাদ। ফাইল ছবি
অমর একুশে বইমেলার ২৭তম দিনে লেখক-প্রকাশক ও কবিরা স্মরণ করলেন প্রথাবিরোধী কথাসাহিত্যিক-ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে। ১৯ বছর আগে এদিনে সন্ধ্যায় বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে দুর্বৃত্তদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউজ চত্বরে হুমায়ুন আজাদ স্মরণে আলোচনার আয়োজন করে আগামী প্রকাশনী। এই প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গণির সভাপতিত্বে আলোচনায় যোগ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি মোহন রায়হান, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, হুমায়ুন আজাদের ভাই সাজ্জাদ কবির, কবি আসলাম সানী ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ আরও অনেক অনুরাগী।
সাজ্জাদ কবির বলেন, ‘আজ হুমায়ুন আজাদকে বইমেলা প্রাঙ্গণে স্মরণ করা হচ্ছে। কিন্তু তার কোনো ছবি বা প্রতিকৃতি মেলাপ্রাঙ্গণে কোথাও দেখছি না। আমি অনেক দেশে গেছি। সেখানে তরুণ পাঠকের কাছে হুমায়ুন আজাদ এখনও সক্রিয়।’
কবি মোহন রায়হান বলেন, ‘হুমায়ুন আজাদের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়; তাকে হত্যা করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে। যারা তার ওপর সেদিন আক্রমণ করেছিল তারা আজও বাংলাদেশকে হত্যা করতে চায়। আজও তারা হুমকি দেয় বোমা মেরে বইমেলা উড়িয়ে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘হুমায়ুন আজাদ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় লড়াকু লেখক ছিলেন।’
অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘যখন বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল, তখন বিভ্রান্তির জাল ছিঁড়ে তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে হুমায়ুন আজাদ কলম ধরেছিলেন। তার প্রতিটি লেখা ছিল প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি ও মৌলবাদের বিপক্ষে।’
২০০৪-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অমর একুশে বইমেলা থেকে ফেরার সময় মৌলবাদী চক্রের আক্রমণে গুরুতর আহত হন অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ। চিকিৎসায় কিছুদিনের জন্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেও ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে নিজ ফ্ল্যাটে মারা যান তিনি। দিনটি উপলক্ষে আগামী প্রকাশনী প্রতিবছর বইমেলায় ‘হুমায়ুন আজাদ দিবস পালন’ করে। ‘লেখক-প্রকাশক পাঠক ফোরামের’ ব্যানারে এবারের স্মরণসভার প্রতিপাদ্য ছিল ‘পাইরেসিমুক্ত বইমেলা চাই’।