প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:০৩ পিএম
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৪২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
তীব্র জ্বালানি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো। শীতে এ সংকট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওদিকে রাশিয়া সরবরাহ বন্ধ করায় ক্রমবর্ধমান ধারায় বাড়ছে গ্যাসের দাম। জনগণকে উচ্চ জ্বালানি বিলের হাত থেকে রক্ষা করতে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন ইইউ নেতারা। তবে মতবিরোধ থাকায় গ্যাসের দাম নির্ধারণে একমত হতে পারছিলেন না তারা। জ্বালানি সংকট কাটাতে এবার একমত হয়েছে ইইউভুক্ত ২৭টি দেশ। গ্যাসের দামের সীমা নির্ধারণে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন দেশগুলোর জ্বালানিমন্ত্রীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে দাম। গত সোমবার গ্যাসের দাম নির্ধারণে ইইউভুক্ত দেশগুলোর জ্বালানিমন্ত্রীরা একমত হওয়ায় সেই লাগাম পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ডাচ টাইটেল ট্রান্সফার ফ্যাসিলিটি (টিটিএফ) গ্যাস সূচকের সঙ্গে তুলনা করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়, আগামী মাসে তিন দিন পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাসের দাম প্রতি মেগাওয়াট ঘণ্টা ১৮০ ইউরো বা ১৯১ ডলার ১১ সেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন দিনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ হলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম প্রতি মেগাওয়াট ঘণ্টায় আরও ৩৫ ইউরো বেশি হতে পারে।
গ্যাসের দাম নির্ধারণের বিষয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের শিল্পমন্ত্রী জোজেফ সিকেলা বলেন, ‘নাগরিকদের আকাশছোঁয়া জ্বালানি বিল থেকে রক্ষা করতে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি অনুমোদন করেছি।’
চুক্তিটি প্রথমে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশগুলোতে লিখিত আকারে অনুমোদিত হবে। তারপর এটি কার্যকর হবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ চুক্তিটি কার্যকর হবে। ইইউর তিনজন কর্মকর্তা বলেন, মূল্য নির্ধারিত হলে গ্যাস সরবরাহকারীরা ইউরোপের বাজারের প্রতি আকর্ষণ হারানোর শঙ্কা করেছিল জার্মানি। তবে এখন শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে দেশটি। ইইউর একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হওয়ার পরই জার্মানি জ্বালানির দাম নির্ধারণের বিষয় মেনে নিয়েছে। তবে যদি গ্যাস সরবরাহ ঘাটতির সম্মুখীন হয়, মূল্যমানটি যদি টিটিএফ সূচকে দরপতনের মুখোমুখি হয়, তাহলে চুক্তিটি স্থগিত করা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।