প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৮ পিএম
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০০ পিএম
রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ছবি : প্রবা
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ দেওয়া হয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ছয় ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক বা প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেওয়া হয়।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
এ বছর বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে পাঁচটি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে পাঁচটি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে চারটি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি, কুটিরশিল্প ক্যাটাগরিতে দুটি ও হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি পুরস্কার দেওয়া হয়।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে রানার অটোমোবাইলস এবং ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস, যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ফারিহা স্পিনিং মিলস্, তৃতীয় হয়েছে এনভয় টেক্সটাইল। মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে নোমান টেরি টাওয়াল মিলস্, যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে মাসকোটেক্স এবং এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস, যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস্ এবং অকো-টেক্স।
ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে মাসকো ওভারসিজ, যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে আবদুল জলিল এবং প্যাসিফিক সী ফুডস, তৃতীয় হয়েছে মাধবদী ডাইং ফিনিশিং মিলস্। মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে, মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজ। কুটিরশিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ইন্টেলিজেন্ট কার্ড এবং দ্বিতীয় হয়েছে রং মেলা নারী কল্যাণ সংস্থা (আরএনকেএস)। হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স, দ্বিতীয় হয়েছে মীর টেলিকম এবং তৃতীয় হয়েছে সার্ভিস ইঞ্জিন।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘যারা ষড়যন্ত্র করে দেশের উন্নয়নধারার গতিকে বাধা দেওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে কোনো লাভ হবে না। সরকার অর্থনীতিকে গতিশীল করতে কাজ করেই যাবে।’
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘উদ্যেক্তারা যার যার অবস্থান থেকে রপ্তানি আয় বাড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কাঁচামালের সহজলভ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারও শিল্পকারখানা নির্মাণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে উদ্যেক্তাদের উৎসাহ প্রদানেও বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা দিচ্ছে।’
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে সরকার নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে অধিকাংশ কাজ শেষ করার লক্ষ্যে সরকার বেশ মনোযোগী। আশা করা হচ্ছে ধাপে ধাপে সবকিছু তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও সহজ হয়ে উঠবে।’