প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:০৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
দেশীয় খাদ্যশস্যের সরকারি ক্রয়ের ওপর ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সরবরাহ চেন অক্ষুণ্ন রাখার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।
সংস্থাটির আদেশ অনুযায়ী, এই কর প্রত্যাহার ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর আগে দেশীয় খাদ্য মজুদ থেকে শস্য সংগ্রহের ওপর কর মওকুফের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
সরকার নির্ধারিত মূল্যে রাইস মিলারদের বিল পরিশোধে কর সুবিধা চেয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। তবে কর বিশেষজ্ঞরা খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে উৎপাদক এবং ভোক্তাদের কাছে দেওয়া আর্থিক ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে সন্দিহান। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে তারা জানান, কর অব্যাহতি চাল মিলারদের সুবিধা দেবে, ধানচাষি বা ভোক্তাদের নয়।
এর আগে খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্য সংগ্রহ কর্মসূচির অধীনে খাদ্যশস্য সরবরাহের জন্য চাল মিলারদের বিলের ওপর ২ শতাংশ উৎস কর দেওয়ার কথা ছিল। এনবিআরকে দেওয়া চিঠিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে, আগে খাদ্য সংগ্রহে এ ধরনের কোনো কর ছিল না।
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর এনবিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, স্থানীয় মিলারদের সঙ্গে চুক্তির অধীনে খাদ্যশস্য সংগ্রহের সময় আয়কর বিধি ১৯৮৪ অনুযায়ী উৎসে ২ শতাংশ কর আরোপ হবে।
একই বছরের ১ নভেম্বর খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সভায় ২০২২-২৩ মৌসুমে ১৭ নভেম্বর থেকে প্রতি কেজি ৪২ টাকা দরে ৫ লাখ টন সেদ্ধ আমন চাল সংগ্রহ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কেনাকাটা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছিল।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় উৎসে কর কর্তন ছাড়াই শস্যের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের বিল পরিশোধ করছে।
সূত্র জানায়, অগ্রিম কর আরোপ করা চাল মিলারদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে, অবশেষে তাদের নিরুৎসাহিত করে। এই কর বিদ্যমান থাকলে এই পরিস্থিতিতে আমন সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।