প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:০৫ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৮ পিএম
মতবিনিময় সভায় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানসহ অন্য অতিথিরা। প্রবা ফটো
রমজান উপলক্ষে এলসি কার্যক্রম স্বাভাবিক না থাকলে আমদানিকৃত ফলের দাম বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।
সোমবার, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন। সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে ফলের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। বাকি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ চাহিদা মেটাতে হয় আমদানি করে। এই আমদানির ওপর নির্ভর করেই উঠানামা করে ফলের দাম। এলসি খোলার জটিলতা এবং পণ্য খালাসে সময়সীমা দীর্ঘ হওয়ায় বাজারে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়, এ কারণে বাড়তে থাকে ফলের দাম।’
রমজানে ফলের চাহিদা বাড়ে উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে খেজুরের চাহিদাটাই বেশি থাকে। েএ মাসে ৪০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা থাকে। আর চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরা অক্টোবর, নভেম্বর মাসে এলসি খোলার অনুরোধ জানালেও কাঙ্ক্ষিত এলসি পায়নি। তাই কিছুটা সংকটের সম্ভাবনা রয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাড়াতাড়ি যদি এলসি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা যায় তবে ফলের বাজারে সরবরাহ এবং দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’
সভায় গুলশান ডিনসিসি মার্কেটের ফল বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘একমাত্র এলসি কম হওয়ার কারণেই হু হু করে বাড়ছে ফলের দাম। গত বছর যে খেজুরের কেজি ছিল ২ হাজার ৬০০ টাকা এবার তার দাম উঠেছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে এলসি খোলা নিয়মিত করার দাবি জানাই।’
আলোচনায় ব্যবসায়ীদের আস্বস্ত করে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এলসি খোলা নিয়মিত রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোকেও বলা হয়েছে। আশা করছি ফলের সরবরাহ ঘাটতি হবে না।’
বন্দরে পণ্য খালাসে বিলম্ব হলে ভোক্তা অধিকারকে জানানোর আহবান জানান তিনি। একইসঙ্গে দোকানে আমদানিকৃত ফলের তথ্য ও মূল্য তালিকা টানানোরও নির্দেশ দেন ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক।