প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে আরও দুইটি প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরের ভবানীপুরে অবস্থিত জে এল ফ্যাশন লিমিটেড এবং একই জেলার শ্রীপুরে অবস্থিত জেকেএল এডমিন অ্যান্ড ডেকেয়ার বিল্ড এই স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে ১৮৬ টি সবুজ কারখানা নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি স্বীকৃতি দেয় জে এল ফ্যাশন এবং জেকেএল এডমিন অ্যান্ড ডেকেয়ারকে। প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানটি সনদ পেয়েছে।
২০২২ সালে সারাবছরে ৩০ টি কারখানার স্বীকৃতি দেয় ইউএসজিবিসি। যেখানে ১৫ টি কারখানা ছিলো প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে আর ১৫ টি কারখানা ছিলো গোল্ড ক্যাটাগরিতে।
আর ২০২১ সালে স্বীকৃতি পায় ২৩ টি কারখানা। এরমধ্যে ১০ টি কারখানা প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে, ১০ টি গোল্ড, একটি সিলভার এবং দুটি পেয়েছে সার্টিফাইড ক্যাটাগরিতে।
বর্তমানে রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লাহ ১১০ এর মধ্যে ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ২০০১ সাল থেকে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (লিড) সনদ পাচ্ছে বাংলাদেশ। জ্বালানি, পানি, ব্যবস্থা কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে কারখানাগুলোকে সবুজ কারখানা স্বীকৃতি দেয় ইউএসজিবিসি।
সংস্থাটি চারটি ক্যাটাগরিতে লিড সনদ দিয়ে থাকে। এগুলো হল: প্লাটিনাম, গোল্ড, সিলভার এবং সার্টিফাইড। এই চার ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশে প্লাটিনাম ৬২ টি, গোল্ড ১১০ টি, সিলভার ১০ টি এবং সার্টিফাইড ৪ টি কারখানা রয়েছে। এছাড়াও ৫৫০ টিরও অধিক কারখানা রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে আছে।
কোন কারখানা ১১০ পয়েন্টের মধ্যে ৮০ পয়েন্টের অধিক পেলেই ওই প্রতিষ্ঠানকে প্লাটিনাম সনদ দেয় ইউএসজিবিসি। একইসঙ্গে কারখানাটি ১১০ পয়েন্টের মধ্যে যদি পয়েন্ট ৬০ পায় তবে তবে ইউএসজিবিসি ওই প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে গোল্ড সনদ। এছাড়া ৫০ পয়েন্ট পেলে সিলভার সনদ ও ৪০ পয়েন্ট পেলে সার্টিফাইড সনদ দেয় ইউএসজিবিসি।
সবুজ কারখানা নির্মাণে সফলতার জন্য ২০২১ সালে পৃথিবীর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (বিজিএমইএ) লিডারশিপ অ্যায়ার্ড দিয়েছে ইউএসজিবিসি।
সবুজ কারখানা নির্মাণ ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটা খুব খুশির খবর যে নতুন বছরের শুরুতেই আমরা ৩টি সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছি। আশা করছি আমরা আরও বেশি সবুজ কারখানা নির্মাণ করে যেতে পারবো। আমরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে কাজ করে যাচ্ছি। নতুন পণ্য তৈরি করে প্রতিযোগি দেশের চেয়ে ভালো করে যাবো। মার্কেট যতই খারাপ হোক তার মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় থাকবো।