প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫১ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর শূন্য কোভিড নীতি থেকে সরে এসেছে চীন। ফলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটি। এতেই বাড়তে শুরু করেছে চীনের ফ্লাইট সংখ্যা। প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার ৭০০টি ফ্লাইট বেশি হচ্ছে দেশটিতে। যে কারণে চীনে বেড়েছে জেট ফুয়েলের চাহিদা।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের জেট ফুয়েল শোধনাগারের ত্রুটির কারণে কমেছে সরবারহ। যার দরুণ চলতি মাসে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে জেট ফুয়েলের দাম। সিঙ্গাপুরের বাজারে গত দুই সপ্তাহে জেট ফুয়েলের দাম ১৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২২ ডলার ৩০ সেন্ট। ইউরোপে বিক্রি হচ্ছে ব্যারেল প্রতি ১১৫ ডলারে। একইসঙ্গে এশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রেও বেড়েছে জেট ফুয়েলের দাম। বিশ্লেষক এবং শোধনাকারীরা বলছেন, জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধির এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ হয়েছে জেট ফুয়েলের চাহিদা। প্রতিদিন চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ব্যারেল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জেট ফুয়েল শোধনাগারের ত্রুটির কারণে সরবারহ কমেছে। এতেই উর্ধ্বমুখী জেট ফুয়েলের দাম।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জেট ফুয়েল সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান ভ্যালেরো এনার্জির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা গ্যারি সিমন্স বলেন, ‘এবছর জেট ফুয়েলের চাহিদা বাড়বে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় অঞ্চলে ঠান্ডা আবহাওয়া থাকায় অনেক জেট ফুয়েল প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়েছে। যার ফলে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতেই জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এ অবস্থা থাকতে পারে।’
এদিকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে সমুদ্রবাহিত রাশিয়ান পরিশোধিত জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ। সংস্থাটির এমন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের পরিশোধিত জ্বালানির চাহিদা বাড়াবে। তবে চাহিদা পূরণে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেকে আহবান জানিয়েছে ইইউ।
১৯৯০ সালের পর গত বছর সর্বনিম্ন পরিশোধিত জ্বালানি রপ্তানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় প্রতিদিন তাদের রপ্তানিকৃত পরিশোধিত জ্বালানির পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল যা বছর শেষে ৩ কোটি ৪০ লাখ ব্যারেলে দাঁড়ায়।