প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:২৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আইএমফের ৪২ মাসের ঋণ কর্মসূচিতে মোট ৩০টি শর্তে এ প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হতে পারে । এ শর্তের বাইরে রয়েছে ব্যাংকের সুদ হার উঠেয়ে দেওয়া তার অর্থ হচ্ছে সরকার ব্যাংকের বিভিন্ন সুদের হারের ক্যাপ বজায় থাকবে। সেই সাথে দেশের কৃষি খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা । আর গ্যাস বিদ্যুতের দাম আন্তর্জাতিক দামের সাথে না কমিয়ে পর্যায়ক্রমে কমানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের উর্ধতণ একজন কর্মকতা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আন্তর্জার্তিক মূদ্রা তহবিল (আই্এমএফ) পর্ষদ সভায় আজ বাংলাদেশের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের কথা রয়েছে।
তিনি জানান, বাধ্যতামূলক শর্তের মধ্যে থাকছে আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ও অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহের একটি ন্যূনতম স্তর নির্ধারণ এবং সরকারের বাজেট ঘাটতির ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ। আইএমএফের দেওয়া শর্তগুলোর মধ্যে আরও থাকছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা, খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, আদায়ের অযোগ্য ঋণ বিষয়ে আলাদা কোম্পানি গঠন করা, জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ফর্মুলা কার্যকর করা, আয়কর আইন সংসদে পাস করা, করছাড়ের ওপর বিস্তারিত নিরীক্ষা করা, বাজেটের নির্দিষ্ট অংশ সামাজিক ব্যয়ের যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা কমূর্সচি জন্য রাখা এবং ক্রমান্বয়ে তা বাড়ানো।
তিনি আরও জানান, আইএমএফের সাথে সরকারের যত ডকুমেন্ট আছে সবগুলো সরকার আর আইএমএফ ওয়েব সাইটে প্রকাশ করবে।
এর আগে ২০১২ সালে সরকার আইএমএফ থেকে ঋণ পায়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল প্রায় ১০০ কোটি ডলার মূল্যের বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা প্রদান করেছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত ঋণ কর্মসূচির আওতায় পাঁচ দফায় জ্বালানি তেলের দাম এবং আট দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার।