আবাসন খাত
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৮ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৬ পিএম
এসএম জহিরুল আলম জুয়েল হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং,ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট। প্রবা ফটো
বর্তমানে আবাসন খাতে কিছুটা স্থবিরতা বিরাজ করছে। আবাসন খাতের প্রয়োজনীয় উপকরণ রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, টাইলস, রঙ ও ফিটিংসহ সব ধরনের কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। অথচ এই আবাসন খাতই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রায় ৮ শতাংশ অবদান রাখে।
স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে এবং অধিকসংখ্যক নাগরিকের আবাসন নিশ্চিত করতে এখন নব উদ্যোগ বাস্তবায়নের সময় এসেছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে এখন জমির সংকট। তাই সরকারি খাসজমিতে অথবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জমিতে নতুন করে প্লট প্রকল্প না করে ফ্ল্যাট প্রকল্প করতে পারে আবাসন খাতকে সঙ্গে নিয়ে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আদলে কিছু একটা চিন্তা করা যায়। এমন চিন্তা করতে হবে, যাতে কম জমি ব্যবহার করে বহু পরিবারকে ফ্ল্যাটে বাস করার সুযোগ দেওয়া যায়। এতে স্বল্পদামে ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ আরও প্রসারিত হবে। সেখানে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে নতুন টাউনশিপ গড়ে তোলা যাবে।
করোনাপরবর্তী সময়ে আবাসন খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের সাহসী সিদ্ধান্তে ক্রেতারা ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারছেন। এতে নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি পাচ্ছেন ক্রেতারা। কিন্তু আবাসন ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে কাঁচামালের দাম কমাতে হবে। এ ছাড়া অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দিলে এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। এর মাধ্যমে অন্য দেশে টাকা পাচারও কমে যাবে। এ ছাড়া সরকার ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ফি কমাতে পারে, ফ্ল্যাট প্রথম দফায় রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর স্থানান্তর করতে চাইলে পুনরায় রেজিস্ট্রেশন না করে স্থানান্তর ফি নেওয়া যেতে পারে। তা হলে গ্রাহকেরা সুবিধা পাবেন।