প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৭:১১ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৭:২২ পিএম
আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ পেতে জ্বালানি মূল্য বাড়িয়েছে পাকিস্তান সরকার। ছবি : সংগৃহীত
দিন দিন খারাপ হচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) বা মূল্যস্ফীতি ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে উঠে গেছে, যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটিতে খাবার, পানীয় এবং পরিবহন ব্যয় ৪৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে নাকাল দেশটির সাধারণ মানুষ।
এর আগে ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে দেশটিতে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপর গত পাঁচ দশকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি পাকিস্তানের নাগরিকদের।
পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় পানীয় ও তামাকজাত পণ্যের মূল্য বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ। সিগারেটের ওপর কর বৃদ্ধির কারণেই মূলত এমনটি হয়েছে।
অন্যদিকে খাবার ও নন-অ্যালকোহলিক পানীয়ের মূল্য গত এক বছরে ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সরকার সম্পূরক আইন পাস করে, যার মাধ্যমে পণ্যের ওপর আরোপিত কর ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। মূলত চলমান অর্থবছরে আরও ১৭ হাজার কোটি রুপি কর আদায়ের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৬৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ১০০ কোটি ডলার পেতে কর, জ্বালানিসহ সবকিছুর মূল্য বাড়িয়েছে পাকিস্তান সরকার।
এ ছাড়া কয়েক মাস ধরে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের রুপির যে দরপতন চলছে, সেটি অব্যাহত আছে। তবে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা। সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা