প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৫:২৩ পিএম
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪৭ পিএম
প্রবা ফটো
বিদ্যমান বীমা আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। বুধবার (১৫ মার্চ) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) টকে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল বারী বলেন, ‘আইন না মানার প্রবণতাই বীমা খাতের বড় চ্যালেঞ্জ। তাই বীমা কোম্পানিতে অটোমেশন চালু করতে কাজ করছে আইডিআরএ। এতোদিন কমপ্লায়েন্স না মানলে শুধু কোম্পানিকে জরিমানা করেছি। এখন ব্যক্তি বা অভিযুক্ত কর্মকর্তাকেও জরিমানা করা হবে। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা বেশ কিছু আইন প্রনয়ণ করেছি আরো কিছু আইন প্রণয়নের কাজ করছি।’
সিএমজেএফে সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি জিয়াউর রহমান।
অটোমেশনের নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে জীবন বীমা করপোরেশন, সাধারণ বীমা করপোরেশন ও বাংলাদেশ ইরস্যুরেন্স একাডেমির অটোমেশন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। যা আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সব বীমা কোম্পানিতে চালুর করার পরিকল্পনা আছে। এটা বাস্তবায়ন হলে এখাতে সমস্যা কমে যাবে। কারণ তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভালোভাবে নজরদারি করতে পারবে।’
বীমা দাবী পরিশোধ সমস্যা সমাধানে সেল গঠন করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সেলের কাছে প্রচুর অভিযোগ আসে। সরাসরি কিংবা মেইল বা অন্যান্য মাধ্যমে। এই অভিযোগগুলো নিয়ে কাজ করছে আইডিআরএ। প্রয়োজনে কোম্পানির সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও এসব বীমাদাবি পরিশোধ করা হবে। এরইমধ্যে কিছু বীমা কোম্পানির সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, সম্পত্তি যে দামে কিনেছে সে দামে বিক্রি হচ্ছে না। কারণ জমি যোগসাজশে বেশিদামে কেনা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৭টা বীমা কোম্পানির বোর্ডকে ডেকে তাদের অবস্থান জানা হয়েছে। প্রিমিয়াম কত পায় এবং কি ধরনের সম্পদ আছে তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পলিসির মেয়াদ শেষে সেগুলো কিভাবে পরিশোধ করবে সেই পরিকল্পনাও দিতে বলা হয়েছে। এসব তথ্য পেলে আইডিআরএ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।’
বীমা কোম্পানিগুলো যে পরিমান প্রিমিয়াম পায় সেটা কোথায় খরচ করে এবং কোথায় বিনিয়োগ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব তথ্যগুলো প্রতি প্রান্তিকে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ধারাবাহিকতায় সঠিক গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি অনিয়ম করে জমি কেনার সময়। এজন্য এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জমি কেনার অনুমতি দিচ্ছে না বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।’
বীমা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪০ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে, প্রতিবেদনে পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।