× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রমজানে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলেই আশা করি

সোহেল চৌধুরী

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৩:২০ পিএম

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৩:২১ পিএম

মো. হেলাল উদ্দিন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। প্রবা ফটো

মো. হেলাল উদ্দিন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। প্রবা ফটো

মো. হেলাল উদ্দিন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। এর আগে এক মেয়াদে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। আসছে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রমজান খুব ভালোভাবে কাটবে। নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সোহেল চৌধুরী

আসছে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার কেমন থাকবে বলে আপনি মনে করেন?

হেলাল উদ্দিন : বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলেই আশা করি। এবারের রমজানটা ভালোভাবেই কাটাতে চাই। আশা করি কোনো ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করবে না। কেউ কোনো অনিয়ম করলে সরকারের যেসব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রয়েছে, তাদের নিয়মিত অভিযান বা তদারকির মাধ্যমে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার অনুরোধ করছি।

তাহলে কি আশা করা যায়, এবারের রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না?

হেলাল উদ্দিন : এবারের রমজানে দৈব কিছু না ঘটলে পণ্যের দাম বাড়বে না। প্রতিবছর যেমন একটা অস্থিরতা থাকে, এবার আশা করি সে রকম হবে না। এক্ষেত্রে ক্রেতারাও সচেতন আছেন। একসঙ্গে বেশি পরিমাণে পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকবেন। এমনিতেই পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাসাধারণের ক্রয়ক্ষমতাও কিছুটা কমেছে।

দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিন্ডিকেট শব্দটি প্রায়ই শোনা যায়। এ নিয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই? 

হেলাল উদ্দিন : সব সময়েই সিন্ডিকেট শব্দ ব্যবহার করা হয়। আমরা সব সময়ই বলে আসছি যদি কেউ সিন্ডিকেট করে থাকে তবে তাদের খুঁজে বের করুন। সিন্ডিকেটকারীদের নাম প্রকাশ করে শাস্তি দিন। আজ পর্যন্ত সিন্ডিকেট কারা করে তাদের বের করা হলো না। এই শব্দটা এক অর্থে বলার জন্য বলা হয় আর কী। কোনোভাবে বলে দায় এড়ানোর পাঁয়তারা।

ব্যবসায়ীদের এলসি খোলা নিয়ে যে সংকট ছিল, সেই সমস্যা কি সমাধান হয়েছে?

হেলাল উদ্দিন : এলসি খোলার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা এখনও যায়নি। এক্ষেত্রে বেশ স্বজনপ্রীতি ও সখ্য লক্ষ করা যাচ্ছে। আর স্বজনপ্রীতি রয়েছে শতভাগ। ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এলসি খুলতে পারছেন না। ফলে এসব ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তারা পণ্য আমদানি কার্যক্রমে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যাংকগুলোকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। মুখ দেখে এলসি খোলা বন্ধ করে সর্বজনীন করতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহির সংস্কৃতিটা একেবারেই নাই। উচ্চপদস্থতরা জবাবদিহির আওতায় আসে না, সব দোষ আর জবাবদিহি এসে পড়ে ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর।

সব দোকানি যেন মূল্যতালিকা টাঙায় এজন্য কী ধরনের পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছেন?

হেলাল উদ্দিন : মূল্যতালিকা টাঙানোর বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। আমরা মূল্যতালিকা শতভাগ টাঙিয়ে রাখব। কিন্তু সমস্যা হলো, মূল্যতালিকাটা আমাদের দেবে কে? এখানে পণ্যের দামের অনেক পার্থক্য থাকে। যেমন একজন খুচরা বিক্রেতা একটি পণ্য ১১০ টাকায় কিনে ১১৫ টাকায় বিক্রি করছেন। এক্ষেত্রে বাজার তদারকি সংস্থা এসে হয়তো এসে প্রশ্ন করছে আপনি বেশি দামে পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে বিপাকে পড়ে যান ব্যবসায়ীরা। তাই কার্যকর মূল্যতালিকা যদি কেউ করে দিতে পারে তবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা মূল্যতালিকা টাঙিয়ে ব্যবসা করতে সর্বদা প্রস্তুত।

নিত্যপণ্যের বাজার সঠিকভাবে পরিচালনায় কোনো কিছুর অভাব বা ঘাটতি দেখছেন কি না?

হেলাল উদ্দিন : ভোগ্যপণ্যের বাজারে সরবরাহ, দাম এবং উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। কেননা আমাদের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। বাজারে আমার কতটুকু পণ্য কী পরিমাণ লাগবে বা কী পরিমাণ উৎপাদন করলে কৃষক ন্যায্য মূল্য পাবে। এসব তথ্যের অভাবে ভোক্তা এবং কৃষক উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হন। কৃষকরা ব্যাপক হারে উৎপাদন করে বাজারে সরবরাহ বাড়ালেও ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন। আবার উৎপাদন কমিয়ে দিলে বাজারে দাম বেড়ে যায়। এটা হয় পরিসংখ্যান এবং সমন্বয়হীনতার অভাবে। তাই আমার দাবি ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আলাদা একটি মন্ত্রণালয় গঠন করা হোক। কেননা, এখন এক এক মন্ত্রণালয় একেক জিনিস দেখভাল করায় ব্যাপক সমন্বয়হীনতা লক্ষ করা যায়। এতে বাজারে কোনো সুফল মিলছে না। ভোগ্যপণ্যের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় থাকলে দাম, উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা