× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রাজস্ব ঘাটতি ২৩ হাজার কোটি টাকা

জাহিদুল ইসলাম

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩৫ পিএম

আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩ ১৩:৪৩ পিএম

রাজস্ব ঘাটতি ২৩ হাজার কোটি টাকা

আমদানি-রপ্তানিতে ধীরগতি ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় চলতি বছরের শুরুতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। ফলে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা।

পুরো অর্থবছরে এনবিআরের কাঁধে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। যদিও সে সময় অর্থনীতিবিদরা এ লক্ষ্যমাত্রাকে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছিলেন। তাদের মতে, অর্থবছর শেষে বড় ধরনের ঘাটতি থাকবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দার পূর্বাভাসের কারণে দেশের অভ্যন্তরের অর্থনীতি কিছুটা শ্লথগতিতে আছে। এসব কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আয় হচ্ছে না। এনবিআর কর্মকর্তারা যদিও আশা করছেন, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য আবারও গতি পাবে। তখন রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

এনবিআরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭ দশমিক ৫১ কোটি টাকা। এ সময় পর্যন্ত লক্ষ্য ছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২২ হাজার ৯৭৮ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। সেই হিসাবে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ পিছিয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে এ অবস্থার জন্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থাকে দায়ী করেছেন এনবিআর কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, বৈশ্বিক অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল থাকলে রাজস্ব আদায়েও গতি বেশি হয়। তা ছাড়া নানা সংকট থাকা সত্ত্বেও এনবিআরের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ সন্তোষজনক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষাপটে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাইরে বিক্রিও উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আগের তুলনায় অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। এসবের পরও এনবিআরের রাজস্ব আদায় সন্তোষজনক। আমরা লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশ অর্জন করেছি। সামনে এই অর্জন আরও বেগবান হবে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আদায় সবচেয়ে বেশি। এ খাতে আদায় হয়েছে ৭৬ হাজার ৪০১ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা। ঘাটতি হয়েছে ৫ হাজার ৭৩৮ দশমিক ৫৩ কোটি টাকা। এরপর আয়কর খাতে আদায় হয়েছে ৬০ হাজার ৪৩৭ দশমিক ১৯ কোটি টাকা। এ খাতে লক্ষ্যের চেয়ে ২ হাজার ৭৫৮ দশমিক ৯৮ টাকা পিছিয়ে আছে এনবিআর। একই সময়ে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক-কর আদায় হয়েছে ৫৯ হাজার ১৯৮ দশমিক শূন্য ৭ কোটি টাকা। এ খাতে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮১৪ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ খাত বিশেষ করে এনবিআরের শুল্ক-কর আদায় বাড়ানোর জন্য সরকারের উচ্চ মহল থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি।

চলতি বছরে এনবিআরকে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা বিদায়ি ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়েও ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি। বিদায়ি অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছিল এনবিআর। ঘাটতি ছিল প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্য অর্জনে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার প্রধান কারণ ডলার সংকট, আমদানিকৃত কিছু পণ্যে কর অব্যাহতি ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া। এনবিআরের রাজস্ব আয়ে ঘাটতির প্রবণতা এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে। কারণ এখনও ডলার সংকট রয়েছে। এ রকম চলতে থাকলে আইএমএফের শর্ত পূরণে রাজস্ব বোর্ড ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা