× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পর্যাপ্ত আমদানিতে ফলের বাজারে স্বস্তি

সোহেল চৌধুরী

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ১২:২২ পিএম

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১২:২৩ পিএম

পর্যাপ্ত আমদানিতে ফলের বাজারে স্বস্তি

প্রতি বছর রমজান মাস এলেই নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও দাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কেননা বাড়তি চাহিদার কারণে এ সময় ভোগ্যপণ্যের সংকট শুরু হয়। ফলে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়। এ সময় অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে অস্থির হয়ে ওঠে ফলের বাজার। তবে এবার সব শঙ্কা কাটিয়ে খোদ আমদানিকারকরাই বলছেন, ফলের বাজারে এবার কোনো সংকট নেই। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল আমদানি হয়েছে। সম্প্রতি এলসি (ঋণপত্র) খোলা নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছিল তাও কেটে গেছে। ফলে আসছে রমজানে ফলের বাজার স্বাভাবিক থাকবে বলেই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। 

ফলের বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘অল্প কিছুদিন ফলের বাজার অস্থির ছিল। তবে এখন বাজারে  দাম কমতে শুরু করেছে। আশা করছি সামনে আরও কমতে থাকবে। রমজানে ফলের বাজার স্বাভাবিক থাকবে। কোনো সংকট হবে না। প্রচুর ফল আমদানি হচ্ছে। যত আমদানি বাড়বে ততই দাম কমতে থাকবে।’

বর্তমানে ফল আমদানিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফল ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়ই এলসি খুলতে পারছেন। এলসি খোলার ওপরই বাজারে ফলের সরবরাহ পরিস্থিতি নির্ভর করে। এবারের রমজান ভালোভাবেই কাটবে। খেজুরেরও কোনো সংকট হবে না। খেজুর যে পরিমাণ আছে বা যে পরিমাণ আসবে তাতে সংকটের কোনো কারণই নেই। অর্থাৎ ঘাটতির কোনো সম্ভাবনাই নেই। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে দেশে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন খেজুরের চাহিদা থাকে। সব শিপমেন্ট হয়ে গেছে, এতে ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি খেজুর থাকবে।’

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, দেশে চাহিদার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মেটে দেশে উৎপাদিত ফলের মাধ্যমে। বাকি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ চাহিদা মেটাতে নির্ভর করতে হয় আমদানির ওপর।

রাজধানীর বাদামতলী ফল আমদানিকারক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসীম বলেন, ‘রমজানে অবশ্যই ফলের দাম কম থাকবে। কারণ পর্যাপ্ত ফল আমদানি করা হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ভয়ের কিছু নেই। রমজানের আগেই ফলে ভরপুর থাকবে বাজার।’

খুচরা বাজারে এখন মানভেদে প্রতি কেজি সবুজ আপেল ৩০০ টাকা, লাল আপেল ২৬০ থেকে ৩২০ টাকা, কমলা ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে সাদা আঙুর ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কালো ও লালচে আঙুর ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, আনার ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাল্টা ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

মাবরুব খেজুরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা। আজুয়া ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, ইরানি খেজুর ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কুল ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পেয়ারা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও পেঁপে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। একেকটি আনারস আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকায়।

ফলের বাজারের বেচাকেনার বিষয়ে গুলশানের ডিএনসিসি বাজারের ফল বিক্রেতা মোহাম্মদ শাওনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারে ফলের সরবরাহ ভালো আছে। তবে রমজান আসছে। রমজান এলে তো চিত্র পাল্টে যায়। দেখা যাক এবার দাম কমে নাকি বাড়ে। তবে বাজারে আগের মতো বেচাকেনা নেই।’

কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান ফল বিতানের বিক্রেতা মো. আলমাছ ভূঁইয়া বলেন, ‘এবারের রমজানে খেজুরের দাম অনেক বেশি হবে। কেননা বাজারে গত বছরের তুলনায় সব খেজুর কেজিতে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি আছে। এ ছাড়া বাজারে খেজুর পাওয়াও যাচ্ছে কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘খেজুরের দাম বেড়ে যায় নানা কারণে। খেজুর কেনাবেচায় আমদানি থেকে শুরু করে অনেক হাতবদল হয়। ফলে খরচ বাড়ে। এতে কেজিপ্রতি খেজুরের দামটাও বেড়ে যায়।’

যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া বাজারের ফল বিক্রেতা মো. আফ্রিদী ইসলাম বলেন, ‘ফলের দাম গত তিন দিনে কিছুটা কম ছিল। শবেবরাত থেকে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। ফলের প্রচুর সরবারহ রয়েছে। তবে দামটা একটু চড়া।’

কারওয়ান বাজারের ক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পুষ্টির জন্য ফল তো কম-বেশি খাওয়া লাগে। আর খাওয়াটা নির্ভর করে দামের ওপর। ইচ্ছা হলেও দাম বেশি হওয়ায় সামর্থ্যে কুলায় না। সব জিনিসের দাম বেড়েছে, সঙ্গে ফলের দামটাও বেড়েছে। দেশি ফল আনারস, পেঁপে, পেয়ারা যেগুলো আছে তা কিনে খাওয়া যায়। আর আপেল, আঙুরে তো হাতই দেওয়া যায় না।’

যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া বাজারের ক্রেতা আবির হোসেন বলেন, ‘এখন যা-ই দাম হোক সেটা বিষয় নয়। তবে রমজানে দাম হাতের নাগালে রাখার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বিশেষ করে খেজুরের দামটা যেন হাতের নাগালে থাকে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা