প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ২০:৪৩ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ২১:১৬ পিএম
এখনোই দেশের তেল ও গ্যাসের দাম কমানো উচিৎ বলে মনে করেন সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধানরা। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম কমেছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) অনলাইন জুমের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংবাদপত্র এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকরা এসব কথা বলেছেন।
তাদের মতে, জ্বালানি তেলের দাম না কমানো হলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া তারা বলেন, ‘ব্যাংকের বড় ঋণগ্রহীতাদের কেন এত ঢালাও ঋণসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বড় ঋণসুবিধা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আপনাদের পরামর্শ আমাদের বেশ উপকারে আসে। আলোচনায় সবাই আয় কমানোর পরামর্শ দিলেন, কিন্তু আয় বাড়ানোর কোনো পরামর্শ পেলাম না। আয় না বাড়াতে পারলে সরকার এবং কোম্পানিগুলো সিএসআর করবে কীভাবে?’
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বলেন, ‘জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে আসছে। তাই দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। তেলের দামটা একটু কমিয়ে দিলে অর্থনীতি এর সুফল পাবে। যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল তখন প্রতি ব্যারেলের দাম ছিল ১১০ ডলার, এখন তা কমে ৭২ থেকে ৭৩ ডলারে নেমে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, বড় বড় ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানগুলো নানান ব্যাংকের বিশেষ ঋণসুবিধা পাচ্ছে। এসব সুবিধা আর কতদিন দেওয়া হবে। বড় খেলাপিদের ঋণ রিসিডিউলের সুবিধা দেওয়ার ফাঁক-ফোকর বন্ধ করতে হবে।’
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যাংকের অনিয়ম দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। এ পর্যন্ত ব্যাংকের যত টাকা আটকে গেছে, সেগুলো কীভাবে উদ্ধার করা যায় এবং মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে যেসব টাকা পাচার হয়েছে, সেগুলো কীভাবে ফেরত আনা যায়, সে বিষয়ে নজরদারি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের এ বিশাল অনিয়মগুলো নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকের বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ধারণা বা চিত্র কখনও দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে ব্যাংক খাত কী অবস্থায় আছে এবং সেটা আমাদের কতটুকু নির্ভরতা দিতে পারবে, সে চিত্র তুলে ধরা প্রয়োজন।’