প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ২০:৫২ পিএম
সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে না ক্রেডিট সুইসের। ১৬৭ বছরের পুরোনো ব্যাংকটির কপালে যেন লেগেছে শনির দশা। তাই আর্থিক সংকটে থাকা ব্যাংকটিকে উদ্ধার করতে কয়েকদিন আগে এটি ৩২৩ কোটি ডলারে অধিগ্রহণ করে সুইজারল্যান্ডের আরেক বৃহৎ ব্যাংক ইউবিএস।
সে সময় প্রতিষ্ঠানটি ক্রেডিট সুইসের জন্য তাদের ৫০০ কোটি ডলার লোকসান হবে জেনেও চুক্তিতে রাজি হয়। তবে সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই এখন আবার চুক্তি বাতিলের চেষ্টা করছে ইউবিএস। এজন্য এরই মধ্যে ব্যাংকটি পৃথিবীর বিখ্যাত চুক্তি পরিকল্পনাকারী মাইকেল ক্লেইনের শরণাপন্ন হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
ইউবিএস একদল আইনজীবী নিয়োগ করেছে, যারা ক্লেইনের সঙ্গে কাজ করবে এবং ক্রেডিট সুইসের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের সহজ উপায় বের করবে। ইউবিএসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, ‘আমরা ক্লেইনকে জানিয়েছি, যখন চুক্তিটি করা হয়েছিল তখন বিক্রয়কারী ব্যাংকের মাথার ওপর বড় বিপদ ছিল। তবে এখন আমরা আর সেই জায়গায় নেই। পরিস্থিতি বদলে গেছে।’ তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে ইউবিএস এবং ক্রেডিট সুইস। ক্লেইনের মন্তব্য জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে ক্রেডিট সুইসের সংকট কাটাতে তোড়জোড় শুরু করে সুইজারল্যান্ড। সমৃদ্ধিশালী ব্যাংকটির অর্থনৈতিক সংকট বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে বেশ তৎপরতা দেখা যায় সুইস সরকারের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুরু থেকেই সুইস সরকার ইউবিএসকে ক্রেডিট সুইস অধিগ্রহণে চাপ দিয়ে আসছিল। ফলে গঠনমূলক আলোচনায় বসে ক্রেডিট সুইস ও ইউবিএস।
এদিকে এ চুক্তি সম্পন্ন করতে নিজ দেশের আইনও বদল করছে সুইজারল্যান্ড। সাধারণত এ ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদের ভোটাভুটি প্রয়োজন হয়। তবে এ চুক্তির ক্ষেত্রে যাতে শেয়ারহোল্ডারদের হস্তক্ষেপ কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেজন্য আইনে পরিবর্তন এনেছে দেশটির সরকার।
ক্রেডিট সুইস ও ইউবিএসের এই দোটানায় বিপদে পড়েছেন প্রায় ৭৪ হাজার কর্মী। এদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার রয়েছেন যুক্তরাজ্যে। কর্মীদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইউবিএস চেয়ারম্যান বলেন, ‘কর্মীদের বিষয়ে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমাদেরকে যুক্তিসঙ্গতভাবে চিন্তাভাবনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। আমরা বিশ্লেষণ করেছি যে আমাদের কী করা দরকার।’ সূত্র : রয়টার্স