প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:১১ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:১২ পিএম
২০৩৫ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে শুধু দূষণহীন গাড়ি অনুমোদনের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে জার্মানি।
দেশটির উৎসাহ সত্ত্বেও কৃত্রিম ই-ফুয়েল নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বিশাল গাড়ি শিল্পের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে প্রচলিত গাড়ির ইঞ্জিন চালাতে পেট্রোল বা ডিজেলের বদলে এমন কৃত্রিম জ্বালানি ব্যবহারে এখনও অনেক বাধা রয়েছে।
প্রথমত, এমন জ্বালানি এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। তা ছাড়া ই-ফুয়েল উৎপাদন করতে কত পরিমাণ কার্বন নির্গমন ঘটবে, তাও স্পষ্ট নয়। তাই জার্মান গাড়ি শিল্প প্রচলিত গাড়ির কম্বাশসন ইঞ্জিন চালু রাখার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে ইইউ ২০৩৫ সালের পর পেট্রোল ও ডিজেলচালিত নতুন গাড়ির ছাড়পত্র দেওয়া বন্ধ করতে চায়। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, ইইউ কমিশন ও সদস্য দেশগুলোর সরকার গত বছরই নীতিগতভাবে সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। কিন্তু জার্মানির সাম্প্রতিক আপত্তির কারণে সেই উদ্যোগ আপাতত ভেস্তে যাচ্ছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের এজেন্ডা থেকেও বিষয়টি বাদ পড়েছে।
জার্মানির এমন ‘একলা চলো রে’ নীতির কারণে ফ্রান্সেও অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। বহুকাল ধরে ইইউয়ের চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত হলেও সাম্প্রতিককালে দুই দেশের মধ্যে ঘন ঘন মনোমালিন্য ও সমন্বয়ের অভাব ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ইইউ সম্পূর্ণ নির্গমনহীন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে, ২০৩৫ সাল থেকে শুধু দূষণহীন গাড়ি অনুমোদনের প্রস্তাব সেই সংকল্পের চাবিকাঠি। শেষ মুহূর্তে বার্লিনের আপত্তি প্যারিসে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। আজ শুক্রবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে