চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:১০ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:২৩ পিএম
ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারের চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কোরিয়া রাষ্ট্রদূত স্যাম সু কিম। প্রবা ফটো
বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে ম্যানুফ্যাকচারিং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন কোরিয়া ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (কোটরা) ডাইরেক্টর জেনারেল ও কোরিয়া দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর স্যাম সু কিম। তিনি বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং বাংলাদেশের রপ্তানিতে এখন সবচেয়ে বড় খাত হিসেবে কাজ করছে। আশির দশকে এই খাতে প্রথম কারিগরি সহায়তা দিয়েছিল কোরীয় কোম্পানি। কোরিয়া এখনও বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এখন শিল্প কারখানায় রুফটপ সোলার এনার্জি নিয়েও কাজ করছে কোরিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
শনিবার (১ এপ্রিল) ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারের চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় স্যাম সু কিম বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
স্যাম সু কিম বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কোরিয়া ১৯৯০ সালে প্রচলিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে বের হয়ে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করে। বর্জ্য ভেদে ভিন্ন ভিন্ন বিন চালু করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সফলতা অর্জন করে। বাংলাদেশেও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কোরিয়া।
সভায় চেম্বার সভাপতি মাহাবুবুল আলম কোরিয়ার প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি ও প্রক্রিয়াজাত মাছ রপ্তানির জন্য বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ার প্রায় ২০০এর মতো প্রতিষ্ঠান থাকলেও ভিয়েতনামের বিবেচনায় এই সংখ্যা খুবই নগন্য। বাংলাদেশের সঙ্গে কোরিয়ার বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। কোরিয়া প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার প্রক্রিয়াজাত মাংস ও মাছ আমদানি করে। এর মধ্যে চিংড়ি এবং প্রক্রিয়াজাত মাছ আমদানি করে ২ বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশ থেকে এই এই চিংড়ি এবং প্রক্রিয়াজাত মাছ আমদানির সুযোগ রয়েছে।
সভায় সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ওমর হাজ্জাজ ও রিলায়েন্স এসেটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টস (বিডি) লিমিটেডের পরিচালক ওমর মুক্তাদির বক্তব্য দেন।