ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১১:২৮ এএম
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১১:২৯ এএম
ফুলবাড়ী পৌর বাজারের বিপণিতানগুলোতে ঈদের কেনাকাটা করতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রবা ফটো
চলছে মাহে রমজান। আর কিছুদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। সেই ঈদ উপলক্ষে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার।
শিশু ও নারীদের পদচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে বিপণিবিতানগুলো। উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে ফুটপাথেও। তবে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও বিক্রি কম হওয়ায় হতাশ বিক্রেতারা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, কাপড়ের দাম বেশি হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। আর বিক্রেতাদের অভিযোগ, এবার প্রতি পিস কাপড় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি মূল্যে কিনতে হয়েছে। তাই সব কাপড়ের দাম এবার বেশি।
এদিকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঈদবাজার উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা বিপণিবিতানগুলোতে ব্যাপক আলোকসজ্জা করেছেন। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বিক্রেতাদের ব্যস্ততা ততই বাড়ছে।
পৌর বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম অনেক বেশি। যাদের বেশিরভাগ এসেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে পছন্দের ঈদের পোশাক কিনতে। আবার অনেকে এসেছেন বাজার ঘুরে পছন্দের জিনিস বাছাই করে রাখতে।
রাজ মার্কেটে কথা হয় উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের মাদিলাহাট থেকে কাপড় কিনতে আসা রুখসানা বেগমের সঙ্গে। তিনি মনে করেন এখন থেকে দিন যত এগোবে, ভিড় তত বাড়বে। তাই এখন যতটুকু দরদাম করে কাপড় কেনার সুযোগ থাকছে, পরে সে সুযোগও থাকবে না। এ জন্য সপরিবারে কেনাকাটার জন্য এসেছি এখনই। তবে জিনিসপত্রের যে দাম। কল্পনার বাইরে এবার কাপড়ের মূল্য। তাই ছোট মেয়ের কাপড় কিনে ফিরছি। আবার টাকা জমিয়ে নিজেদের জন্য কাপড় কিনব।
আরেক ক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাজারে এসেছি তাদের জন্য কাপড় কিনতে। বহু দোকান ঘুরে কাপড় পছন্দ হলো, কিন্তু দামে এসে আটকে গেছি। যে কাপড় গত বছর ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনেছিলাম এ বছর সেটির দাম হয়েছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। মানুষের হাতের অবস্থা এখন ভালো না। জমির ফসল ঘরে না উঠলে কৃষকদের হাতে টাকা থাকে না।
স্বপ্নচূড়া ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী সোহেল রানা বলেন, বাজারের ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও বিক্রি কম। ক্রেতাদের আমরা কাপড় দেখাচ্ছি, ক্রেতারা পছন্দও করছেন। কিন্তু দামে এসে সব ভেস্তে যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতি পিস কাপড়ে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অনেকের সামর্থ্য হচ্ছে না কাপড়গুলো কেনার। এ ছাড়াও এখনও ধান ও ভুট্টা বাজারে না ওঠায় সবার হাতের অবস্থা খারাপ। আমরা প্রতিদিনই কামনা করছি, স্বপ্ন দেখছি। হয়তোবা কাল বেচাকেনা ভালো হবে। এভাবে করতে করতে ঈদ ঘনিয়ে আসছে।
টুইস্ট ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মুক্তার শেখ বলেন, বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। তবে যে তুলনায় হওয়ার কথা সে তুলনায় বেচাবিক্রি নেই। আশা করছি আগামীর দিনগুলোতে বেচাকেনা আরও ভালো হবে।
উপজেলা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, এখন বেচাকেনা কম। তবে উপজেলার ব্যবসায়ীরা যেভাবে দোকানে মালামাল তুলেছেন। আশা করা যাচ্ছে ১৫ রমজানের পর থেকে পুরোদমে বেচাবিক্রি শুরু হয়ে যাবে।