× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বেড়েছে পোশাক রপ্তানি

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১১:২৮ এএম

আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৩১ এএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ১৪৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৪৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। সে হিসেবে বছর ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের পোশাক আমদানি তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ওটেক্সার হালনাগাদ তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট পোশাক আমদানি করেছে ১ হাজার ৩২১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১ হাজার ৪৯৯ কোটি ৪০ ডলার। সে হিসেবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট পোশাক আমদানি কমেছে ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। 

ওটেক্সার তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি বাড়ালেও কমিয়েছে চীন এবং ভিয়েতনাম থেকে। যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চীন থেকে পোশাক আমদানি করেছে ২৫২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৫৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ২৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। একইভাবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনাম থেকে পোশাক আমদানি করেছে ২৩৬ কোটি ডলার। যা আগের বছরের ফেব্রুয়ারিতে ছিল ২৬৪ কোটি ২৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। চীন ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি কমলেও ভারত থেকে শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ আমদানি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করেছে ৮৮ কোটি ডলারের পোশাক। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৭ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। যুক্তরাষ্ট্র আমদানি কমিয়েছে ইন্দোনেশিয়া থেকেও। ইন্দোনেশিয়া থেকে দেশটি পোশাক আমদানি কমিয়েছে ৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটি ৭৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৫ কোটি ৯৩ লাখ ডলার।


ওটেক্সার পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে তৃতীয় বৃহত্তম উৎস। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৯৭৪ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। যার পরিমাণ তার আগের বছরে ছিল ৭১৪ কোটি ডলার। 

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি আয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাংলাদেশের জন্য সব সময়েই গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্ব অতীতেও ছিল, এখনও আছে এবং আগামীতেও থাকবে। পোশাক রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই দুটি দেশ হলো. বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেট। সুতরাং এদের ভালো-খারাপের ওপরে বাংলাদেশের অনেক কিছুই নির্ভর করে। যুত্তরাষ্ট্র এখন অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা সমস্যায় আছে। যুদ্ধের প্রভাবে দেশটি কিছুটা চাপে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চীন ও ভিয়েতনাম থেকে রপ্তানি কমিয়েছে, এতে বোঝা যায় দেশটির কেনাকেটার পরিমাণ বেশ কমেছে। এর মধ্যেও বাংলাদেশ ভালো করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে খুব একটা ভালো হচ্ছে না। বলা যায় আমরা এই অবস্থায় মন্দের ভালো করছি। প্রত্যাশা অনুযায়ী রপ্তানি আয় হচ্ছে না। সামনের দিকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। তবে আমরা আশা করছি ২০২৪ সাল আমাদের জন্য ভালো যাবে।’

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে কারখানাগুলোর উদ্যোক্তারা ক্রয়াদেশ কেমন পাচ্ছে, এমন প্রশ্নরে জবাবে বিজিএমইএর সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে কারখানাগুলো ৮ ঘণ্টার বাইরে চলছে না। তার কারণ ক্রয়াদেশ খুবই কম। তা ছাড়া এখন মৌসুমও না। এর ফলে কারখানাগুলোতে ওভারটাইম কাজেরও সুযোগ নেই। এখন সামনে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা