বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১০:১৪ এএম
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৩৫ পিএম
ছবি সংগৃহীত
বাঙালি ব্যবসায়ীদের বাকি আদায়ের একটি রীতি ‘হালখাতা’ উৎসব। কালের বিবর্তনে হালখাতা উৎসব প্রায় হারিয়ে গেছে। তবে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনকে কেন্দ্র করে আজও কিছুটা টিকে আছে পুরান ঢাকায়। বাংলার আবহমান এই হালখাতা উৎসব এবারও আয়োজন করছেন আদি ঢাকার কিছু ব্যবসায়ী। তবে গত কয়েক বছর করোনা ও রমজানের কারণে পুরান ঢাকার বেশিরভাগ ব্যবসায়ী হালখাতার আয়োজন করতে পারেননি।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির কাছে এক অনন্য আনন্দ-আয়োজনের দিন। এই দিনে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের পুরোনো হিসাবের খাতা বন্ধ ও নতুন হিসাবের খাতা খোলার আয়োজন চলে। নতুন বর্ষকে স্বাগত জানিয়ে দিনটিতে ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কের নতুন যাত্রা শুরু হয় আপ্যায়ন ও নানান আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে।
পুরান ঢাকায় প্রতি বছরের মতো এবারও হালখাতা উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে খবই সীমিত পরিসরে। সে হিসেবে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) চলবে গ্রাহক আপ্যায়ন। করোনাপরবর্তী এই সময়ে তেমন উৎসবের আমেজ না থাকলেও এবার হালখাতা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অল্প কিছু ব্যবসায়ী।
করোনার আগে ও রমজান মাস না হলে সাধারণত প্রতি বছর পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, শ্যামবাজার, বাবুবাজারসহ বিভিন্ন দোকানে ব্যবসায়ীরা হালখাতা উৎসবের আয়োজন করেন। তবে এক দশক আগেও যেভাবে বড় পরিসরে হালখাতা উৎসবের আয়োজন করা হতো, এখন আর সে পরিস্থিতি নেই।
কোনো কোনো ব্যবসায়ী বলেছেন, বাকি তুলতে না পারার আশঙ্কা ও রমজানসহ বিভিন্ন কারণে হালখাতার আয়োজন এবার করতে পারছেন না। নিয়ম রক্ষার এই আয়োজনে পাওনা আদায় না হওয়ায় অনেকেই এখন এই আয়োজন করতে চান না।
বাবুবাজারের চালের আড়তগুলোয়ও হালখাতা আয়োজন করা হচ্ছে খুবই সীমিত পরিসরে। ইসলামপুরের কাপড়ের দোকানগুলোয়ও একই অবস্থা।
শ্যামবাজারের আড়তদার মোমেন ব্যাপারী বলেন, পহেলা বৈশাখের দিন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা হালখাতা উৎসবের আয়োজন করে থাকেন দীর্ঘদিন থেকেই। গত কয়েক বছর করোনার কারণে এর তেমন আমেজ ছিল না। এখন তো সব আধুনিক হয়ে গেছে। তাই হালখাতার আয়োজন হয় খুবই কম।
শাঁখারীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুবর্ণ স্বর্ণকার বলেন, হালখাতা উৎসব আগের মতো আর হয় না। তবে বাপ-দাদার আমলের রীতি ধরে রাখতে ছোট করে হলেও আয়োজন করি। কিন্তু গ্রাহকের সাড়া পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।