চ্যান্সেলর
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:০৬ পিএম
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের পর্যবেক্ষণে এমন দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে বলে জানান তিনি। ওয়াশিংটনে আইএমএফের বৈঠকে হান্টের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কৌশলকে স্বাগত জানানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
তবে সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এদিকে আইএমএফ বলছে, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা এটিকে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্সের একটি করে তুলবে।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে হান্টের ইতিবাচক মন্তব্য এবং আইএমএফের প্রতিবেদন ভিন্ন বার্তা দেয় কি না, তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হলে, তিনি বলেন, ‘অনেক অর্থমন্ত্রী আমাকে বলেছেন ব্রিটেনের অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।’
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক মাসের শিল্প পদক্ষেপ, দ্রুত ক্রমবর্ধমান দাম এবং শ্রমের ঘাটতির পরও ব্রিটেনের অর্থনীতি কেবল মহামারির আগের আকারে পুনরুদ্ধার করেছে। তবে গত শুক্রবার নার্সদের সবচেয়ে বড় সংগঠন আরসিএন ইউনিয়নের সদস্যরা তাদের ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ডাক্তাররা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে চার দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
এদিকে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শিল্প কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস।
তবে মূল্যস্ফীতির প্রভাব এড়াতে বেতন বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন জেরোমি হান্ট। তিনি বলেন, ‘এ বছর এখন পর্যন্ত আমরা মন্দা এড়িয়ে গেছি। আগামী মাসগুলোতে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির পতন দেখা যাবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও বেশি কর্মী নিয়োগ করতে এবং চাইল্ড কেয়ার তহবিল বৃদ্ধিসহ বিনিয়োগ বাড়াতে মার্চে ঘোষিত বাজেট কাজে আসবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক খাতের পতন এবং ক্রেডিট সুইস ব্যাংককে ইউবিএসের কাছে জরুরি ভিত্তিতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত ব্যাংক খাতের অনিশ্চয়তাকে আরও বেশি ঘোলাটে করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে চ্যান্সেলর হান্ট বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে খুব শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক ব্যাংকব্যবস্থা ছিল। যেটি এখন ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমি আমাদের ব্যাংক খাতের অবস্থা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।’ সূত্র : বিবিসি