ইউক্রেনের শস্য নিষিদ্ধ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৪৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের শস্য আমদানিতে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় কমিশন। দেশ দুটি বলছে, তাদের কৃষি খাতকে রক্ষা করার জন্য সস্তা শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন ছিল। এই নিষেধাজ্ঞা শস্য, দুগ্ধজাত পণ্য, চিনি, ফল, শাকসবজি ও মাংসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং জুনের শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
কমিশন বলছে, কোনো একটি দেশ আলাদাভাবে বাণিজ্য নীতি তৈরি করতে পারে না। যদিও কমিশন বলেছে একতরফা পদক্ষেপ সহ্য করা হবে না, তবে তারা পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।
গত রবিবার এক বিবৃতিতে কমিশনের মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই ধরনের চ্যালেঞ্জিং সময়ে ইইউর সমন্বিত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গত সোমবার জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছেÑ তারা ওই দুটি দেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আইনি ভিত্তি বোঝার চেষ্টা করছে। বেশিরভাগ ইউক্রেনীয় শস্য কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে রপ্তানি করা হয়, কিন্তু গত বছর রাশিয়া হামলা চালানোর পর রপ্তানির এই রুট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রচুর পরিমাণে শস্য মধ্য ইউরোপের বাইরে যেতে পারে না।
পরে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই চুক্তিতে ইউক্রেনকে সমুদ্রপথে রপ্তানি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার অতিরিক্ত তদারকির কারণে রপ্তানি প্রক্রিয়াটি গতি হারিয়েছে।
গত শনিবার পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি এই আমদানি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। দেশ দুটির স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। কৃষকরা বলেছে, আমদানির কারণে তাদের বাজার সস্তা ইউক্রেনীয় শস্যে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা নিজস্ব উৎপাদিত শস্য বিক্রি করতে পারছে না।
তাই গত রবিবার পোল্যান্ডের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ও টেকনোলজি মন্ত্রী ওয়াল্ডেমার বুডা স্পষ্ট করে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাটি ট্রানজিট পণ্যের পাশাপাশি পোল্যান্ডে আসা পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। তিনি পোল্যান্ডের মধ্য দিয়ে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি স্কিমের আওতায় এক্সপোর্ট পাস চালু করতে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানান। যেন ইউক্রেনের পণ্যগুলো স্থানীয় বাজারে ঢুকতে না পারে।
ইউক্রেন বলছে, এই পদক্ষেপ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির পরিপন্থি। ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছেÑ তারা পোল্যান্ডের কৃষি খাতের পরিস্থিতির প্রতি সহানুভূতিশীল এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সময় তারা পাশে ছিল। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো ইতিবাচক সমাধান আনতে গেলে একতরফা কঠোর পদক্ষেপ কাজ করবে না।’ পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের মন্ত্রীরা গত সোমবার পোল্যান্ডে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বসতে পারেন বলে জানা গেছে। সূত্র : বিবিসি