প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৫৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
দেশের জনগণকে বিদ্যুৎচালিত বাইক ও অটোরিকশা কেনায় উৎসাহ জোগাতে দীর্ঘমেয়াদে সুদমুক্ত ঋণ দেবে পাকিস্তান সরকার। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশটি জ্বালানি তেলভিত্তিক মোটরসাইকেল ও সিএনজিভিত্তিক অটোরিকশার ওপর চাপ কমাতে চাইছে। গত সোমবার পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থনৈতিক সমন্বয় পরিষদের (ইকোনমিক কো-অর্ডিনেশন কমিটি-ইসিসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ইসিসির সভায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে তিনিই এই প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পরিচালিত যুব ও কৃষিঋণ প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হবে এই ঋণসুবিধা।
এই সুবিধার আওতায় যারা বিদ্যুৎচালিত বাইক ও অটোরিকশা কেনার জন্য ঋণের আবেদন করবেন, তাদের সর্বোচ্চ ৫০ হাজার পাকিস্তানি রুপি ঋণ দেওয়া হবে। ঋণ পরিশোধের জন্য গ্রহীতাকে তিন বছর সময় দেওয়া হবে এবং এই ঋণে কোনো সুদ কাটা হবে না।
পাকিস্তানে অর্থবছর শুরু হয় ১ জুলাই, শেষ হয় ৩০ জুন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৫ হাজার ই-বাইক এবং ই-অটোরিকশার জন্য এই ঋণসুবিধা দেওয়া হবে। তবে আগামী অর্থবছরগুলোতে এই সুবিধার আওতা আরও বাড়ানো হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬০ হাজার এবং ২০২৩ সালের ১ লাখ ই-বাইক ও ই-অটোরিকশার ওপর প্রযোজ্য হবে এই সুবিধা। পাকিস্তানের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে বর্তমানে চলাচল করছে ২ কোটি ৬৩ লাখেরও বেশি মোটরসাইকেল। এর ফলে প্রতি বছর খরচ হচ্ছে ৩০০ কোটি ডলার সমমূল্যের জ্বালানি তেল। প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোর জন্যও প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে পাকিস্তানের সরকারের।
তাই অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয়ে ই-বাইক এবং ই-অটোরিকশা অনেকটা আশীর্বাদের মতো। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে পাকিস্তানের সড়ক-মহাসড়কে চলা বাইক ও অটোরিকশাগুলোর ৫০ শতাংশই হবে ই-বাইক ও ই-অটোরিকশা। সূত্র : দ্য ডন