ঈদুল ফিতরকে কাপড় ব্যবসায়ীদের কাছে সবচেয়ে বড় মৌসুম বললে কোনোভাবেই ভুল বলা হবে না। বরং এই একটি উৎসবের জন্যই ব্যবসায়ীরা সারা বছর অপেক্ষা করেন। বছরজুড়ে গড়পড়তা ব্যবসা করলেও এই সময়ে দোকানিদের বেচাবিক্রি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাড়তি জোগাড়যন্ত্র থাকে ব্যবসায়ীদের। বেচাবিক্রির উৎসব জমে অভিজাত শপিং মল থেকে ফুটপাথ পর্যন্ত। তবে উৎসবের মাসে দাবদাহের কারণে ব্যবসায় কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বেচাকেনা কিছুটা কম।
অভিজাত শপিং মল বসুন্ধরা থেকে যমুনা সবখানে পড়েছে গরমের প্রভাব, গরমের কারণে ক্রেতারা দোকানে আসছেন না। তবে ভিন্নমত রয়েছে অনেকের। কোনো কোনো ব্যবসায়ী বলছেন, শবেকদরের আগে বেচাকেনা বাড়ে, যারা গ্রামে যান তারা শপিং করে নেন। শবেকদরের পরে কিছুটা কমলেও ২৮ ও ২৯ রোজায় বেচাকেনা হয়। ফলে বেচাবিক্রি যে খুব কম তাও বলতে নারাজ কেউ কেউ। তবে ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়েছে সে কথাও স্বীকার করছেন অনেকে।
বসুন্ধরা শপিং মলের পাঞ্জাবির জন্য বিখ্যাত দুলহা পাঞ্জাবির আউটলেটের স্বত্বাধিকারী মো. রুবেল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ বছর বেচাবিক্রি খুব কম। এত গরমের মধ্যে রোজা রেখে কে আসতে চায় মার্কেটে? আমাদেরই দোকানে বসে থাকতে ইচ্ছে করে না। এর মধ্য গত দুদিন মার্কেটে এসি ছিল না। সব মিলিয়ে ভালো ব্যবসা হয়েছে বলার সুযোগ নেই। ব্যবসা করতে হবে, তাই করছি। তবে ঈদুল ফিতরের যে বেচাকেনা সেটা নেই, দেখি শেষ দুদিন যদি কিছু হয়।’
বেচাকেনা নেই নিউ মার্কেটের শপিং মলগুলোতেও। তাদের অভিযোগ, নিউ সুপার মার্কেটের আগুনের প্রভাব পড়েছে পুরো নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়। চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের নাবিল ফ্যাশন হাউজের জহির প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘একদমই বেচাকেনা নাই, টুকটাক হইতাছে। ঈদে এত কম বেচি নাই। মানুষ মার্কেটে আসে। গরমের জন্য ধৈর্য ধরে দরদামও করে না। রোজা আর গরম সব মিলিয়ে মানুষ কাহিল।’
গরমে বেচাবিক্রি নেই ফুটপাথেও। মাত্রারিক্ত গরমের কারণে ফুটপাথেও বেচাবিক্রি কমেছে। চাঁদনি চক ও হকার মার্কেটের সামনের সব সময় ব্যবসা করেন এমন কয়েকজন হকার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানালেন, রোদে তাদের রাস্তায় থাকা দায় হয়েছে। গত কয়েক ঈদের চেয়ে এবারই সবচেয়ে কম বিক্রি হচ্ছে তাদের।
আব্দুল কাদির নামের এক হকার বলেন, ‘শুক্র-শনিবারেই দশ পনেরো হাজার টাকার কাপড় বেচি। এইবার ঈদেও এত টাকা বেচতে পারি নাই। গরমের কারণে তিন দিন বসি নাই।’
একই রকম অবস্থা গুলিস্তান বঙ্গবাজারেও। বেচাকেনা হচ্ছে, তবে সেটা আগের চেয়ে অনেকাংশে কম। তবে গত দুই তিন দিন ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে। অনেক মানুষ রাজধানী ছেড়ে যাওয়ায় আজ একটু বেচাবিক্রি কম বলে জানিয়েছেন রনি দাস। রনি বলেন, তিন-চার দিন বেচাকেনা ভালো হয়েছে আজ একটু কম, তবে আগামী দুদিন বেচাকেনা বাড়বে।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.