× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সরবরাহ জটিলতায় বিশ্বের শস্য বাণিজ্য

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৪৩ পিএম

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে। ফলে বৃহৎ খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে প্রয়োজনের তুলনায় কম খাদ্যশস্য আমদানি করতে পারছে অন্যান্য দেশ। এরই মধ্যে পূর্ব ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেন থেকে শস্য এবং কৃষিপণ্য আমদানি বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে দেশগুলোর এমন সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে ব্যবসার জন্য পূর্বাভাস প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।

তেলবীজ, চাল, ডাল ও জলপাই তেলের বাণিজ্য প্রতিনিধিত্বকারী ইউরোপীয় সংস্থা সিওসিইআরএএলের এক আলোচনায় বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান সফলেট নেগোসের অন্যতম কর্মকর্তা ফিলিপ মিটকো বলেন, ‘ইউক্রেনের এই অঞ্চলটি বাকি বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখন এটি মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে। তাই এ মুহূর্তে আমাদের বাণিজ্যের জন্য পূর্বাভাস প্রয়োজন।’

এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া এবং স্লোভাকিয়ার মতো দেশগুলো ইউক্রেন থেকে শস্য এবং তৈলবীজসহ কৃষিপণ্য আমদানিতে তাদের রুট ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বেশ কিছুদিন থেকে কৃষ্ণসাগর বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি করা যায়নি। এ সময় ইউক্রেনীয় শস্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হয়ে ওঠে উপরোক্ত দেশগুলো। তবে এবার ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর বাধার মুখে লাখ লাখ টন শস্য আটকে পড়েছে। এ বিষয়ে মিটকো বলেন, ‘এক বছর আগে একই দেশগুলো কমবেশি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তৈরি করছিল, এবার তারা আমদানি নিষেধাজ্ঞা তৈরি করছে। এগুলো আসলে আমাদের জন্য অনুসরণ করা একটু কঠিন।’

মাঝেমধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ফলে ব্যবসায়ীদের প্রচুর অর্থ অপচয় হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,  মাঝেমধ্যে বাণিজ্য রুট বন্ধ হয়ে যায়, তার পর আবার খোলে। এতে ভোক্তাসহ প্রত্যেকের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। ফলে এটি বাণিজ্য অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলে।

ব্যবসায়ীরা একের অপরের ওপর নির্ভরশীল জানিয়ে মিটকো আরও বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা একটি একক বাজারের কাজ। ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক তখনই কাজ করে যদি তারা একে অপরের ওপর নির্ভর করতে পারে। যদি কিছু বাণিজ্য বিধিনিষেধ ইইউ বা সীমান্তে বাস্তবায়িত হয়, তখন এ প্রক্রিয়াটি ভেঙে পড়বে। 

উদ্বৃত্ত এলাকা থেকে ঘাটতি এলাকায় সময়মতো পণ্য স্থানান্তর করা ব্যবসায়ীদের কাজ বলেও মন্তব্য করেন মিটকো। তিনি বলেন, শস্যগুলো অন্য সময় থেকে ঘাটতির সময়কালে এবং ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে যেমন যুদ্ধ, খরা এবং নিষেধাজ্ঞার সময় আরও বেশি স্থানান্তর করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের সমবায়ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিএইচএস ইনকরপোরেটেডের সিনিয়র ট্রেডার ইরিনা বুটেনকো বলেন, ক্ষুদ্র কৃষকরাও বৃহত্তর ব্যবহারকারীদের সরবরাহের একটি অংশ। ইউক্রেনের একজন ক্ষুদ্র কৃষক প্রতিবছর ১০ হাজার টন গম উৎপাদন করেন। ফলে ব্যবসায়ীরা এসব কৃষক থেকেই শস্য সংগ্রহ করে তা সরবরাহ করেন। 

এদিকে ইউরোপিয়ান ফিড ম্যানুফ্যাকচারার্স ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফিড উত্পাদন আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে ৫০ লাখ টনের বেশি হ্রাস পেয়েছে।

২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পশুখাদ্য উৎপাদন ১৪ কোটি ৯৯ লাখ টন অনুমান করা হয়েছে, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কম। এ বিষয়ে বুটেনকো বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাধা। এটি বিদ্যমান চুক্তি সম্পাদন করা এবং নতুন উদ্যোগ নেওয়া কঠিন করে তুলেছে। শস্য উৎপাদনে এ বছর ২ কোটি ৫০ লাখ টন এবং পরের বছর ৩ কোটি টন হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় বিকল্প উৎসের সন্ধান করতে হবে বলেও মনে করেন বুটেনকো। তিনি বলেন, ‘আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শস্য হারাচ্ছি, যা বিশ্বের প্রয়োজন। ফলে এখন আমাদের অন্যান্য উৎসের সন্ধান করতে হবে।’

সূত্র : ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডটকম 


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা