× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি ও সবজি, ঝাঁজ কমেনি পেঁয়াজ আদার

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ মে ২০২৩ ০৯:১৩ এএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রতিযোগিতায় একটি পণ্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায় প্রতিনিয়ত ব্যস্ত আরেকটি পণ্য। আর এই দাম বাড়ানোর পুরো রেশটাই পড়ে স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর। তাদের প্রত্যেকের আয় স্থির থাকলেও বেড়েছে খরচ। দিন কিংবা ঘণ্টার ব্যবধানেও বাড়ছে দাম। উত্তাপ ছড়ানো চিনির বাজার কোনোভাবেই আসছে না নিয়ন্ত্রণে। ব্যবসায়ীরা তোয়াক্কা করছে না সরকার নির্ধারিত দাম। 

সরকার নতুন করে খুচরা পর্যায়ে ১২০ টাকা দাম নির্ধারণ করলেও চিনি বিক্রি হচ্ছে আগের  মতো ১৪০ টাকা দরেই। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, চিনি ব্যবসায়ীরা সরকারকে কোনোভাবেই মানছে না। ফলে বাজারে অনিয়ম হচ্ছে। 

খুচরা দোকানগুলোতে পাওয়াই যাচ্ছে না প্যাকেটজাত চিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার ও যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবসায়ীদের প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা ও খোলা চিনি ১২০ টাকায় বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাজারে নেই তার ছিটেফোঁটারও বাস্তবায়ন। ব্যবসায়ীদের মনগড়া দামেই চলছে চিনি বিক্রি।

মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, প্যাকেটজাত চিনি এখনও হাতে পাননি। খোলা চিনি বেশি দামে কেনা, তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বাজার বিশ্লেষক ও ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, চিনির দাম বৃদ্ধিতে চিনি রিফাইনারি মালিকরা সরকারকে নিয়মিত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। তারা সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজেদের অধিক ক্ষমতাবান ভাবছেন।

সুখবর নেই সবজি বাজারে। যেকোনো সবজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সাদ্দাম মিয়া বলেন, বাজার চড়া মূলত সরবরাহ ঘাটতির কারণেই। সরবরাহ বাড়লে দাম এমনিতেই কমে যাবে।

চড়া দামে সবজি ক্রয়ে বেশ আক্ষেপ রয়েছে ভোক্তাদের। যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া কাঁচাবাজারের ক্রেতা রহিস উদ্দিন বলেন, ‘সবজিও যদি এখন ৮০ টাকা করে কিনে খেতে হয়, তবে খাবটা কী তা নিয়েই ভাবছি। কোন জিনিসের দাম বাড়া বাকি রয়েছে সেটাই খুঁজে দেখা দরকার।’

এবার ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ছে মসলাজাতীয় পণ্য আদা ও পেঁয়াজের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আদা ১০ থেকে ২০ টাকা আর পেঁয়াজ ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। আর প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে দেশি আদা ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এ ছাড়া চায়না আদাও বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে।

দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা আকবর হোসেন জানান, আদা ও পেঁয়াজ বাজারে একটু কম আছে। কম দামে পেলে কমে বিক্রি করা যায়। বেশি দামে কেনা, তাই বেশি দামে বিক্রি করেন।

রাজধানীর বৃহত্তম পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সরবরাহ কমের অজুহাতেই বাড়ছে পেঁয়াজ ও আদার দাম। এ বিষয়ে মেসার্স নূর বিতানের পাইকারি বিক্রেতা রাকিব হোসেনের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে আদার দাম বাড়ার কারণেই বাড়ছে দাম। আমদানি খরচ বেশি হলে তো ব্যবসায়ীরা আর লোকসান দিয়ে পণ্য বিক্রি করবে না। আর পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হলো আইপি দেওয়া বন্ধ রয়েছে। শোনা যাচ্ছে ১৫ তারিখের মধ্যে আইপি দেবে।

অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা দরে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে। আর সাদা ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।

মাছের দামও রয়েছে অপরিবর্তিত। আকারভেদে প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা