× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে খরচ বাড়ছে ৫.৩০ শতাংশ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৩ ১৩:০৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

আসছে জাতীয় বাজেটে সরকার সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির খরচ ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ বাড়াতে যাচ্ছে। বর্ধিত ঋণ সহায়তার (ইসিএফ) শর্তের আওতায় সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে প্রতিবছর খরচ বাড়ানোর সীমা বেঁধে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। কিন্তু পেনশনের তহবিল সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে না দেখানোর শর্ত মেনে নিয়েছে সরকার। বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ও দেখা দিয়েছে। যদিও ভবিষ্যতে সামাজিক সুরক্ষা খাতের অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহারের কোনো দিকনির্দেশনা নেই। 

দেশের দরিদ্র এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য মোট ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হবে বলে জনিয়েছেন অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও বয়স্ক জনসংখ্যা এবং বিধবাদের জন্য বর্তমান ভাতার পরিমাণ আগামী অর্থবছর ২০২৩-২৪ থেকে বাড়ানো হচ্ছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সরকার সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির জন্য ১ লাখ ১৩ হাজার টাকার তহবিল বরাদ্দ করেছিল, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের অর্থবছর ২০২১-২২ বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা, যা ছিল জিডিপির ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। 

উল্লেখ্য, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়নের জন্য কাজ করছে এবং এটি আগামী ১ জুন সংসদে উপস্থাপন করা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর দর্শন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বছর বাজেটের আয়-ব্যয় উপস্থাপনের বৈঠকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে তার দর্শন বিষয়ে বলেছেন, দেশের সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচি আওতা আরও বাড়ানো দরকার। যাতে দেশের অসহায় এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপকারভোগীরা সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় একটু হলেও আর্থিক সুবিধাটা পান। 

তিনি বলেন, ‘আশির দশকেও দেখা যেত বাবা-মা এবং পরিবারের লোকজন ঘরে বিকলাঙ্গ শিশুদের লুকিয়ে রাখত। অনেক পরিবারে বিধবা মহিলাটাকে কোনো গুরুত্ব দিত না। বাসার বাবা-মা প্রৌঢ়দের গুরুত্ব দিত না। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আসায় উপকারভোগীদের পরিবারের কাছে তাদের গুরুত্বটা বেড়েছে। এসব অবহেলিত মানুষজনের সঙ্গে সরকার সামাজিক নিরাপত্তার মাধ্যমে একটা সম্পর্ক তৈরি করে।’

আইএমএফের শর্ত : সামাজিক সুরক্ষা তহবিল প্রতিবছর বাড়ানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফ ইসিএফ ঋণের শর্তে বলা হয়েছে, চলতি বছর মার্চের মধ্যে ৬০ কোটি ৫ লাখ টাকা, জুনে ১০৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বরের শেষে ৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বাড়াতে হবে। 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘দেশের ৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতির সময় অবশ্যই উপকারভোগীদের টাকার পরিমাণ বাড়াতে হবে। তা না হলে এ কর্মসূচি কাজে আসবে না।’

বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা নগদ ভাতা, সরকারি কাজ, এবং দরিদ্র ও দুর্বল পরিবারের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রণোদনা আকারে প্রদান করা হয়। এ ভাতা দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে অবদান রাখতে এবং মানব পুঁজির উন্নতিতে সহায়তা করে থাকে। বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচি বিধবা, বয়স্ক জনসংখ্যা, শারীরিক প্রতিবন্ধী, মা, মুক্তিযোদ্ধা, অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক কর্মচারী ইত্যাদি এ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেন। 

এ ছাড়াও, নগদভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে কাজের জন্য খাবার, কাজের জন্য নগদ অর্থ, টেস্ট রিলিফ, খোলা বাজারে বিক্রয়, দুর্বল গ্রুপ ফিডিং এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি। 

অর্থ বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছি, যা বর্তমান বাজেটের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেশি। আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিটি সুবিধাভোগীর জন্য ভাতার পরিমাণ বর্তমান স্তর থেকে কিছু বিভাগে বাড়ানো হবে।’

প্রস্তাব অনুযায়ী, বয়স্ক জনসংখ্যার জন্য বরাদ্দ বর্তমান ৫ লাখ ৭০ হাজার থেকে পরবর্তী বছরে ৫ লাখ ৮০ হাজার যোগ্য সুবিধাভোগীতে প্রসারিত করা হবে। এ ছাড়া বর্তমানে সুবিধাভোগীর ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হবে। বর্ধিত সামাজিক সুরক্ষার আওতায় এবং ইউনিট বরাদ্দের জন্য আসন্ন জাতীয় বাজেটে অতিরিক্ত ৭৬১ কোটি টাকার তহবিল প্রয়োজন বলে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 

বিধবাদের জন্য বরাদ্দ বর্তমান ৫৫০ টাকা থেকে পরবর্তী অর্থবছরে জনপ্রতি ৬০০ টাকায় উন্নীত করা হবে। চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৪৭ হাজার থেকে আসন্ন অর্থবছরে ২ লাখ ৭৫ হাজার বিধবাদের আওতা প্রসারিত করা হবে। বিধবাদের ভাতা বাড়ানোর জন্য আগামী বাজেটে অতিরিক্ত ২১৬ কোটি টাকার তহবিল প্রয়োজন। প্রতিবন্ধী ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার বর্তমান বরাদ্দ থেকে আগামী বাজেটে ৫৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত তহবিল দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মোট আওতা বর্তমানের ২৩৬ কোটি টাকা থেকে ২৯ লাখ জনসংখ্যায় প্রসারিত হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা