× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে রেকর্ড লেনদেন

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩ ১৩:০০ পিএম

আপডেট : ১৭ মে ২০২৩ ১৩:৫৩ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দিন দিন বাড়ছে গ্রাহক ও লেনদেনের পরিমাণ। বিদ্যুৎ বিল দেওয়া থেকে শুরু করে সরকারি ফি জমা দেওয়া পর্যন্ত সবই করা যাচ্ছে ঘরে বসেই। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কল্যাণে ব্যাংকিং সেবা যেন হাতের ডগায় চলে এসেছে। গত মার্চে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে; মাসিক বিবেচনায় যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন; যা একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। এর আগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে। সে মাসে লেনদেন হয় ১ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা।

মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা বলেছেন, এক মাসে এত লেনদেন এর আগে কখনও হয়নি। দ্রুত শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহরে তাৎক্ষণিকভা‌বে টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় গ্রাহকসংখ্যার স‌ঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ। আর লেনদেনের সীমা বাড়ানোর ফলে রেকর্ড লেনদেন হয়েছে। বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়সহ দেশে বর্তমানে ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা (এমএফএস) দিচ্ছে।

২০২৩ সালের মার্চ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৩ জন। এর মধ্যে গ্রামে ১১ কোটি ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭১ জন এবং শহরে ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭১২ গ্রাহক নিবন্ধন করেছেন। নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার এবং নারী গ্রাহক ৮ কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার জনে।

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন আর শুধু টাকা পাঠানোতেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং এর মাধ্যমে দৈনন্দিন কেনাকাটা, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ এবং মোবাইলে রিচার্জসহ নানা ধরনের সেবা মিলছে। রাজধানী ও জেলা শহরে গাড়িচালক ও গৃহপরিচারিকাদের বেতনও এখন দেওয়া হচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো সেবামাধ্যম ব্যবহার করে। শ্রমজীবীরাও এখন এমএফএস সেবার মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাচ্ছেন।

এমএফএস মাধ্যমে গেল মার্চে মোট ৪৮ কোটি ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৫টি লেনদেনের মাধ্যমে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। মার্চে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে জমা পড়েছে (ক্যাশ ইন) ৩৪ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা। এ সময় তোলা হয়েছে (ক্যাশ আউট) ৩০ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ৩১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ হয়েছে ২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। কেনাকাটার জন্য ৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকার বিলও পরিশোধ হয় এ মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বর্তমানে দেশের সামগ্রিক পরিশোধ ব্যবস্থায় এমএফএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কোভিড-১৯ এর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমএফএসের আওতা ও লেনদেনের ব্যাপ্তি প্রসারের পাশাপাশি এ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এমএফএস ব্যবহারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং ডিজিটাল লেনদেন উৎসাহিত করতে এমএফএসের ব্যক্তি হিসাবের লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাশলেস স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে একটি দোকানে এক ব্যাংকের কিউআর থাকলেই যেকোনো ব্যাংক এমএফএসের গ্রাহক পরিশোধ করতে পারবেন। এতে মার্চেন্টের ঝামেলা কম। আবার গ্রাহককেও পরিশোধের জন্য নিজের ব্যাংক বা এমএফএসের কিউআর খুঁজতে হবে না।

দেশে এমএফএস সেবার বড় অংশ দখল করে আছে ‘বিকা‌শ’। সেবার পরিধিও তাদের সবচেয়ে বেশি। প্রতিষ্ঠানটির হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম ব‌লেন, এখন মোবাইল আর্থিক সেবার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে। এর সঙ্গে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, সৃজনশীল ও সময়োপযোগী নানা সেবা পরিষেবা যুক্ত হচ্ছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সেবার বিল ও সুরক্ষা ভাতা পরিশোধ, উপবৃত্তি ও প্রণোদনা বিতরণ এখন মোবাইলে হচ্ছে। রেমিট্যান্স আসছে। কর্মীদের বেতন বোনাস দেওয়া হচ্ছে। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ ক্যাশলেস লেনদেনে অভ্যস্ত হচ্ছেন। এসব কারণে এমএফএস সেবায় লেনদেনের সঙ্গে গ্রাহকসংখ্যা বাড়ছে। সামনে ঈদ কেনাকাটার সঙ্গে এ সেবার লেনদেনও বেড়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা