চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ১০:৩৪ এএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ১২:৩৭ পিএম
ফাইল ফটো
দাম বাড়লে শিগগির পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে- কৃষি সচিবের এমন হুঁশিয়ারির পর ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
গত সপ্তাহে যেখানে ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়; সেখানে গতকাল শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায়। কৃষি সচিবের ওই মন্তব্যের পর ৫ দিনের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ৮ থেকে ১২ টাকা।
আড়তদাররা বলছেন, কৃষি সচিব দাম বাড়তে থাকলে শিগগির পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে মন্তব্য করার পর পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে আকস্মিকভাবে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তাই এখন বেশি দামে কিনলে পরে লোকসানে পড়তে হবে। এই ভেবে অনেকে পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। আবার অনেকে লোকসানের ভয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন। যে কারণে এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।
খাতুনগঞ্জের রহমত এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজিম উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘গত দুয়েক দিন বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমছে। বৃহস্পতিবার ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৭৫ টাকায়। শনিবার তা বিক্রি হয় ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায়।’
১৫ মার্চ আমদানির অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৬ মার্চ থেকে ভারত এবং মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দাম বাড়িয়ে দেন। যে কারণে দুই মাসের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় প্রায় ৬০ টাকা।
আমদানির অনুমতি চালু থাকা অবস্থায় ফেব্রুয়ারিতে যেখানে খাতুনগঞ্জে ভালো মানের প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৮ থেকে ২০ টাকায়, সেখানে আমদানি বন্ধ হওয়ার পর ধারবাহিকভাবে বেড়ে গত সপ্তাহে খাতুনগঞ্জে ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। আমদানির অনুমতি বন্ধ হওয়ার পর রমজানের ঈদ পর্যন্ত দাম কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। ঈদের পর থেকেই হু হু করে বাড়তে থাকে দাম। ঈদের পরের সপ্তাহে কেজিতে বাড়ে অন্তত ২০ টাকা।
ধারাবাহিকভাবে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে গত ১৪ মে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে বসেন কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘উৎপাদন ও মজুদ বিবেচনায় দেশে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তবুও বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। দাম বাড়তে থাকলে শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
এই কৃষি সচিবের এই মন্তব্যের পর থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমছে। কৃষি সচিবের ওই মন্তব্যের পর ৫ দিনের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ৮ থেকে ১০ টাকা।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের তুলনায় শনিবার বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।’
তিনি আরও বলেন, এখন সরকার যদি নির্ধারিত সময় দিয়ে আমদানির অনুমতি দেয় তাহলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। অন্যথায় আকস্মিকভাবে অনুমতি দিলে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়বেন। তাই নির্ধারিত সময় দিয়ে আইপি চালুর আবেদন জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।