× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঝাঁজ কমছে না কাঁচা মরিচের, স্বাভাবিক হয়নি চিনির বাজার

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩ ০৯:০২ এএম

আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ১১:৫৫ এএম

এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। ছবি : সংগৃহীত

এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। ছবি : সংগৃহীত

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় এবার কাঁচা মরিচের দাম উঠেছে ২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে এ পণ্যটি ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা ক্রমশ বাড়ছে। একই সঙ্গে সরকার চিনির দাম বেঁধে দেওয়ার পরেও আগের বাড়তি দর অর্থাৎ কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার ও যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে অধিকাংশ ক্রেতাই সর্ব নিম্নস্তর ২৫০ গ্রাম করে কাঁচা মরিচ কিনছেন। আর এই ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনতে তাদের গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। যদিও ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ মিলছে ৪০ টাকায়।

তবে কাঁচা মরিচের উচ্চ দরে বেশ ক্ষুব্ধ ক্রেতা সাধারণ। এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর টাউন হলের ক্রেতা আক্কাস আলী বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার তো একটা সীমা থাকে। আজ চিনির দাম বাড়বে তো কাল তেল। এরপর ডাল, চাল- কিছুই বাদ থাকছে না। সব জিনিসের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। এখন দেখেন কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকা কেজি। এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে সংসার চালাব! 

কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির কারণ জানিয়ে শনির আখড়া কাঁচাবাজার বিক্রেতা রহিস উদ্দিন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কৃষকের ক্ষেতেই প্রচুর পরিমাণ কাঁচা মরিচ নষ্ট হয়েছে। তাই বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমেছে। কদিন পর কাঁচা মরিচের দাম আরও বাড়তে পারে।’

এদিকে সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও তার কার্যকারিতা নেই বাজারগুলোতে। বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় সরকার নির্ধারিত দামে চিনি কিনতে পারছি না।

চিনির দামের বিষয়ে শ্যামলী কাঁচাবাজারের মুদি পণ্য বিক্রেতা কাওসার মিয়া বলেন, ‘এখন চিনি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি করছি। আমরা কম দামে পেলে কম দামে বিক্রি করব।’

অন্যদিকে শনির আখড়া কাঁচাবাজারের চাঁদপুর স্টোরের বিক্রেতা বলেন, ‘খোলা চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি করছি। সামনে আরও দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চিনিই তো ঠিকঠাকভাবে পাওয়া যায় না। কোম্পানি ও পাইকারি বাজারে চিনির সরবরাহ কম। আশা করি সরবরাহ আগের মতন স্বাভাবিক অবস্থায় এলে চিনির দাম কমবে।’

মসলাজাতীয় পণ্য পেঁয়াজ এবং আদার বাজার এখনও রয়েছে চড়া। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। আর প্রতি কেজি আদা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকারও বেশি দরে।

আদা ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারওয়ানবাজারের ক্রেতা রাসেল শিকদার বলেন, ‘সামনে ঈদ, এখনই যদি আদা-পেঁয়াজের দাম এই অবস্থা হয়। তাহলে তো বেশ শঙ্কার কারণ রয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত দাম নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত।’

বাজার পরিদর্শন করে জানা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০  টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায়।

অপরিবর্তিত রয়েছে গরু, খাসির মাংস ও মাছের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। আকারভেদে প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা