প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩ ১৫:৩৪ পিএম
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩ ১৮:১৭ পিএম
স্ক্যাম ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত ঝুঁকি থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতে এইচএসবিসি ভার্চুয়াল অ্যাসেট ইনভেস্টর এডুকেশন সেন্টারও চালু করেছে। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে যখন ক্রিপ্টোকেন্দ্রিক প্ল্যাটফর্মগুলো দেশটির সিকিউরিটিজ
অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চাপের মধ্যে রয়েছে। ঠিক সে সময়ে হংকং হাটছে উল্টো
পথে। চীনভুক্ত এই অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যাংকগুলোকে রীতিমত চাপ দিচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে
গ্রহণ করার জন্য।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার সে পথে হাটল অর্থনৈতিক খাতে বিশ্বের অন্যতম
প্রভাবশালী বহুজাতিক ব্যাংক হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি)।
হংকংয়ের স্থানীয় গ্রাহকদের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিষেবা
চালু করেছে এইচএসবিসি। এর মাধ্যমে ব্যাংকটির গ্রাহকরা বিটকয়েন, ইথারিয়ামের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি
কেনা-বেচা করতে পারবেন।
২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত এইচএসবিসি হংকংয়ের সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা
ছিল ১৭ লাখেরও বেশি। হংকংয়ে ব্যাংকটির খুচরা লেনদেনের ৯৫ শতাংশই হয় অনলাইনে। স্পষ্টতই
বলা যায় ক্রিপ্টোকেন্দ্রিক এইচএসবিসির সেবা, এ খাতে বড় প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া ক্রিপ্টোর
সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনলাইন স্ক্যামও।
স্ক্যাম ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত ঝুঁকি থেকে বিনিয়োগকারীদের
রক্ষা করতে এইচএসবিসি ভার্চুয়াল অ্যাসেট ইনভেস্টর এডুকেশন সেন্টারও চালু করেছে। এর
মাধ্যমে বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করার আগে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে ধারনা লাভ করতে পারবেন।
এর আগে জুনের মাঝামাঝি সময়ই ক্রিপ্টোকারেন্সির খবর প্রচারের জন্য
বিশেষায়িত সংবাদমাধ্যম কয়েন টেলিগ্রাফ, ক্রিপ্টোনিউজের মতো পোর্টালগুলোতে বলা হচ্ছিল,
হংকং মনিটরি অথোরিটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য অঞ্চলটির ব্যাংকগুলোকে চাপ
দিচ্ছে। বিশেষ করে স্ট্যান্ডার্ট চার্টাড ও এইচএসবিসির মতো ব্যাংকগুলোর কাছে তারা জানতে
চাচ্ছিল, কেন ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ সেবা তারা চালু করছে না?
সূত্র : কয়েন টেলিগ্রাফ