প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৫:৩৮ পিএম
রান্নার অন্যতম অনুষঙ্গ কাঁচা মরিচের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে প্রতি কেজি খোলা চিনি নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার, শ্যামলী কাঁচাবাজার ও যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, এক দিন আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা পর্যন্ত। দাম বাড়ার পেছনে সরবরাহ সংকটকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা। বিপরীতে ক্রেতারা দুষছেন অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে।
কাঁচা মরিচের দামের বিষয়ে মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারের বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, ‘প্রতিটি জিনিসের দাম নির্ভর করে সরবরাহের ওপর। মরিচের সরবরাহ এক দিন ভালো আসে আবার এক দিন কম আসে। এতে দাম বেড়ে যায়। বৃষ্টির কারণে কৃষকের মরিচ নষ্ট হয়েছে, তাই কাঁচা মরিচের সংকট রয়েছে।’
কারওয়ান বাজারের ক্রেতা সজীব হোসেন বলেন, ‘মরিচ আছে হয়তো ঠিকই। ব্যবসায়ীরা লুকোচুরি করে দাম বাড়াতে পারে। সরবরাহ সংকট দেখিয়ে এর আগেও অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তাই কঠোর মনিটরিং দরকার।’
এদিকে কোনোভাবেই স্বস্তি মিলছে না চিনির বাজারে। রাজধানীর বাজারগুলোতে বেঁধে দেওয়া দাম উপেক্ষা করেই চলছে বিক্রয় কার্যক্রম। প্রতি কেজি খোলা চিনি নির্ধারিত ১২০ টাকার বিপরীতে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।
চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে না আসায় শ্যামলী কাঁচাবাজারের ক্রেতা নজরুল চৌধুরী ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘চিনি নিয়ে যে সমস্যাই থাক, তা সমাধানে আসা উচিত। যদি দাম বাড়াতে হয়, তবে তা সরকার থেকে ঘোষণা আসার পর বাড়ুক। অন্যথায় সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রির ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়ার দরকার রয়েছে।’
অপরিবর্তিত রয়েছে সবজি এবং মাছের দাম। আকারভেদে প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কিছুটা বেড়েছে রসুনের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানিকৃত রসুন কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। দেশি রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
রসুনের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা রাসেল মিয়া বলেন, ‘রসুন আমদানি একটু কম, যার প্রভাবে দামটা বাড়তি। আগামী সপ্তাহ নাগাদ দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করছি।’