× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে ইলিশের

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩ ২০:৩৮ পিএম

আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৩ ২১:০৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ইলিশের সরবরাহ বাড়তে থাকায় কমতে শুরু করেছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ওজন ভেদে ইলিশ মাছের দাম কমেছে কেজিতে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া কমেছে কাঁচা মরিচের দামও। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।

এদিকে সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষণে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ। এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর উপকূলীয় এলাকা থেকে ট্রলার নিয়ে জেলেরা সমুদ্রে যাত্রা শুরু করেন। ফলে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। তবে জেলেদের জালে বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়েনি। অগভীর সমুদ্রে খুটা জেলেদের জালে ধরা পড়ছে মাঝারি এবং ছোট আকারের ইলিশ। 

জেলেরা জানান, দীর্ঘ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় তাদের দিন কেটেছে অনেক কষ্টে। অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। আমাদের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ এই পেশায় নিয়োজিত। রুপালি ইলিশের আশায় সবার মধ্যে একটি আমেজ বিরাজ করছে। আমরা আশাবাদী, কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলবে। তাতে ধার দেনা পরিশোধ করতে পারবেন তারা। দীর্ঘদিনের কর্মহীন সময় আর দুর্যোগের দুঃখ-কষ্ট ভুলে রুপালি ইলিশ পাবার স্বপ্ন দেখছেন মৎস্যজীবীরা।

এদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল, শ্যামলী ও যাত্রাবাড়ী শনির আখড়া কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ইলিশের দাম এখন ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। সরবরাহ বাড়ার কারণেই ইলিশের দাম কমছে বলে জানান বিক্রেতারা।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা হান্নান সরকার বলেন, ‘বাজার এখন ইলিশে ভরপুর তাই দাম কম। মাছের আমদানি ভালো থাকলে দাম কম হবে এটাই স্বাভাবিক।’

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ মাছের সরবরাহ বেশি থাকলেও দাম খুব একটা কমেনি। চড়া দরেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। মাছের দাম নিয়ে শনির আখড়া কাঁচা বাজারের ক্রেতা আফজাল হক বলেন, ‘মাছ বাজারে মাছ আছে অনেক। তবে দাম কমেনি। আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। এখন দাম না কমলে আর কমবে কখন!’

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্য মাছের দাম। আকারভেদে প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে অস্থিরতা চলতে থাকা চিনির বাজারে স্বস্তি মিলছে না। বেঁধে দেওয়া দাম উপেক্ষা করেই চলছে বিক্রি। প্রতি কেজি খোলা চিনি নির্ধারিত ১২০ টাকার বিপরীতে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। চিনির ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিক্রেতারা বলছেন, চিনির দাম বৃদ্ধিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে বেচাকেনায়। আর ক্রেতারা বলছেন, অসাধুদের অতি লাভের আশাতেই চড়া রয়েছে চিনির বাজার।

এ বিষয়ে শ্যামলী কাঁচা বাজারের বিক্রেতা কাওসার মিয়া বলেন, ‘চিনির দাম বাড়ায় আগের মতো বেচাকেনা নেই। আগে এক ক্রেতা ২ কেজি চিনি নিলেও এখন নিচ্ছে মাত্র আধা কেজি বা এক কেজি। আবার দোকানে চিনি না পেলেও চলে যাচ্ছে অন্য দোকানে। একজন ক্রেতা চিনির সঙ্গে অন্য পণ্যও ক্রয় করে। ফলে এতে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

একই বাজারের ক্রেতা আবেদ চৌধুরী বলেন, ‘চিনির বাজার এতোদিন ধরে অস্থির কেন তা খতিয়ে দেখে ভালো একটা ব্যবস্থায় আসা উচিত। এভাবে চলতে থাকলে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’  

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা