প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৫:২৭ পিএম
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা; যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৮১ কোটি টাকা বা ২৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭১ কোটি টাকা। লেনদেন কমে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বাজারের অব্যাহত দরপতন। এ ছাড়াও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটির কারণে এক দিন লেনদেন কম হওয়ায় কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। একই সঙ্গে কমেছে ডিএসইর বাজার মূলধন।
গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা।
সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স টানা তিন দিন কমলেও বেড়েছে শেষ কার্যদিবসে। ফলে ডিএসইএক্স ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১২১ পয়েন্টে।
এ ব্যাপারে ডিবিএর সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে বাজার নেতিবাচক থাকার প্রভাব পড়েছে বাজার মূলধনেও। তবে বড় ধনী কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইজে আটকে থাকায় বাজার মূলধনে খুব একটা ঘাটতি দেখা যায়নি। সূচকের ওঠা-নামার সঙ্গে বাজারের মূলধনও ওঠা-নামা করে।
গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৩৭২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা; যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ১০ শতাংশ কম। ডিএসইতে মার্কেট পিই রেশিও বা মূল্য আয় অনুপাতেও বড় অবনমন হয়েছে। সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও শূন্য দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।
ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৮৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ৬২ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া সোনালি পেপারের ৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ৪০ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং জেমিনি সি ফুডের ৪০ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এদিকে ডিএসইতে সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। গত সপ্তাহে এ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া নিটোল ইনস্যুরেন্স ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্যুরেন্সের ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ম্যারিকো বাংলাদেশের ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ দর বেড়েছে।
এদিকে ডিএসইতে সাপ্তাহিক শেয়ার দরপতনের শীর্ষে ছিল ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। গত সপ্তাহে এ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ১৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেমিনি সি ফুডের শেয়ারদর কমেছে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ ছাড়া সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ দর কমেছে।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন সামান্য বেড়েছে। সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয় ৩৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা; যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বেশি। ঐ সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৭৮ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ১০৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৩৪টির দর।